বাংলা হান্ট ডেস্কঃ উনিশের লোকসভা নির্বাচনে (Lok Sabha Election) মেদিনীপুর থেকে জিতে সংসদে গিয়েছিলেন দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। তবে এবার তাঁকে বর্ধমান দুর্গাপুর কেন্দ্র থেকে দাঁড় করিয়েছে বিজেপি। এই আসনে আবার তারকা প্রার্থী দিয়েছে তৃণমূল। টিম ইন্ডিয়ার প্রাক্তন ক্রিকেটার তথা রাজনীতিবিদ কীর্তি আজাদকে (Kirti Azad) টিকিট দিয়েছে জোড়াফুল শিবির। প্রতিপক্ষ হিসেবে দিলীপের নাম ঘোষণা হতেই কীর্তির হুঙ্কার, ‘শূন্য রানে আউট করে বাড়ি পাঠাব’।
রবিবার বাংলার ১৯টি আসনের প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেছে পদ্ম শিবির (TMC)। এর মধ্যে নাম রয়েছে বর্ধমান দুর্গাপুর কেন্দ্রেরও (Bardhaman Durgapur)। তৃণমূল আগেই এই আসন থেকে কীর্তিকে দাঁড় করানোর কথা ঘোষণা করেছিল। প্রাক্তন ক্রিকেটারের বিরুদ্ধে বিজেপির তুরুপের তাস দলের ‘অনুগত সৈনিক’ দিলীপ।
গতকাল বিজেপি প্রার্থীর নাম ঘোষণা হতেই সুর চড়ান কীর্তি। তৃণমূল (TMC) প্রার্থীর হুঁশিয়ারি, ‘উনি একবার সাংসদ হয়েছেন, একবার বিধায়ক। তবে আমি তিনবার সাংসদ হয়েছি। শূন্য রানে আউট করে বাড়ি পাঠাব’। পাল্টা দিয়েছেন দিলীপও। বিজেপি নেতা বলেন, ‘বিপরীতে কে আছে সেটা আমি দেখি না। বোলার নয়, আমি বল দেখি’।
আরও পড়ুনঃ কেন এখনও অভিষেকের বিরুদ্ধে প্রার্থী দিতে পারল না BJP? নেপথ্যের আসল কারণ…
সোমবার দুর্গাপুরের চতুরঙ্গ মাঠের বসন্ত উৎসবে যোগদান করেছিলেন কীর্তি। সেখান থেকেই প্রতিপক্ষকে নিশানা করেন তিনি। উল্লেখ্য, বর্ধমান দুর্গাপুরের তৃণমূল প্রার্থী নিজেও একসময় গেরুয়া শিবিরের অংশ ছিলেন। এরপর কিছু সময়ের জন্য কংগ্রেসে যোগ দেন। চব্বিশের লোকসভা ভোটে আবার তৃণমূলের টিকিটে বর্ধমান দুর্গাপুর কেন্দ্র থেকে দাঁড়িয়েছেন।
ব্রিগেডের জনগর্জন সভা থেকে টিম ইন্ডিয়ার এই প্রাক্তন ক্রিকেটারের নাম ঘোষণা হওয়ার পর থেকেই ‘বহিরাগত ইস্যু’ নিয়ে সুর চড়াতে শুরু করেছিল বিজেপি। তবে ইউসুফের মতো কীর্তিও উদাহরণ হিসেবে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর প্রসঙ্গ টেনে আনেন। গুজরাতের মানুষ হয়েও মোদী বেনারস থেকে ভোটে দাঁড়ান, বলেন তৃণমূল প্রার্থী।
আসন্ন নির্বাচনে বর্ধমান দুর্গাপুর আসনে জয়ের ব্যাপারেও বেশ আত্মবিশ্বাসী কীর্তি। প্রাক্তন ক্রিকেটার কথায়, একসময় দেশের হয়ে বিশ্বকাপ খেলেছেন। এবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হয়ে বাংলায় প্রতিনিধিত্ব করতে এসেছেন। কীর্তির সংযোজন, তৃণমূল এই কেন্দ্রে ৯৯% শতাংশ জয় পেয়ে গিয়েছে। বাকি ১ শতাংশও সময়ের অপেক্ষা বলে মন্তব্য করেন তিনি। দুঁদে রাজনীতিকদের এই লড়াইয়ে শেষ অবধি বাজিমাত কে করে সেই দিকেই নজর সকলের।