কেন মহুয়ার বিরুদ্ধে নবাগত ‘রানিমা’ অমৃতাকে টিকিট দিল BJP? এবার ‘ফাঁস’ হল আসল কারণ…!

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ চব্বিশের লোকসভা নির্বাচনে (Lok Sabha Election 2024) কৃষ্ণনগর কেন্দ্রে মুখোমুখি হচ্ছেন দুই হেভিওয়েট প্রার্থী। গতবারের বিজয়ী সাংসদ মহুয়া মৈত্রকে এবারও টিকিট দিয়েছে তৃণমূল। অপরদিকে দাপুটে এই নেত্রীর বিরুদ্ধে বিজেপির বাজি ‘রানিমা’ অমৃতা রায় (Rani Maa Amrita Roy)। বিগত কয়েকদিন ধরেই শোনা যাচ্ছিল, অমৃতাদেবীকে টিকিট দিতে পারে পদ্ম-শিবির। অবশেষে রবিবার আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করা হয় তাঁর নাম।

গতকাল বাংলার ১৯টি লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থীর নাম প্রকাশ করে বিজেপি (BJP)। সেই তালিকায় নাম ছিল ‘রানিমা’ অমৃতার। সদ্য রাজনীতির ময়দানে পা রেখেছেন, শুভেন্দু অধিকারীর উপস্থিতিতে বিজেপিতে যোগদান করেছেন তিনি। মহুয়ার (Mahua Moitra) মতো হেভিওয়েট প্রার্থীর বিরুদ্ধে কেন তাঁকে টিকিট দিল গেরুয়া শিবির? অনেকের মনেই উঁকি দিয়েছিল এই প্রশ্ন। জবাব হিসেবে উঠে আসতে শুরু করেছে বেশ কয়েকটি কারণ।

গতকাল প্রার্থী হিসেবে নাম ঘোষণার পর জনপ্রিয় এক সংবাদমাধ্যমের কাছে অমৃতাদেবী (Amrita Roy) বলেন, ‘নদিয়ার ইতিহাসে মহারাজ কৃষ্ণচন্দ্রের অবদানের কথা কারোর অজানা নয়। ভারতে অন্তর্ভুক্তির নেপথ্যে কৃষ্ণনগর রাজপরিবারের কথা সকলেই জানেন। তবে রাজ পরিবারের বৌমা হিসেবে নয়, আমজনতার কণ্ঠ হতেই ভোটের ময়দানে এসেছি। আশা করি, মানুষ দু’হাত ভরে আমায় আশীর্বাদ করবেন’।

আরও পড়ুনঃ দিলীপ ঘোষকে ‘শূন্য রানে আউট’ করার হুঙ্কার TMC-র কীর্তির! পাল্টা জবাবে বিস্ফোরক BJP নেতা

কৃষ্ণনগর কেন্দ্রে মহুয়ার প্রতিপক্ষ হিসেবে উঠে এসেছিল একাধিক নাম। সিনে-তারকা থেকে শুরু করে টিম ইন্ডিয়ার প্রাক্তন মহিলা ক্রিকেটার, কানাঘুষো শোনা গিয়েছিল অনেককিছুই। তবে শেষ অবধি ‘রানিমা’ অমৃতা রায়কে টিকিট দিয়েছে বিজেপি। জানা যাচ্ছে, বিজেপির স্থানীয় নেতৃত্বই প্রথমে অমৃতাদেবীকে প্রার্থী করার কথা ভেবেছিল। এরপর একাধিকবার দলীয় নেতৃত্বের সঙ্গে এই বিষয়ে আলোচনার পর তাঁর নামে শিলমোহর দেওয়া হয় বলে খবর।

amrita roy krishnanagar rani maa joined bjp

রাজ পরিবারের একাধিক সামাজিক ইভেন্টে উপস্থিত থাকতে দেখা যায় অমৃতাদেবীকে। পাশাপাশি কৃষ্ণনগরবাসীর রাজপরিবারের প্রতি আবেগের কথাও কমবেশি সকলেই জানেন। এই দুই বিষয় মাথায় রেখেই রাজবধূ অমৃতাদেবীকে টিকিট দেওয়া হয়েছে বলে অনুমান।

Sneha Paul
Sneha Paul

স্নেহা পাল, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তরের পর সাংবাদিকতা শুরু। বিগত প্রায় ২ বছর ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর