বাংলাহান্ট ডেস্ক : জন্মাষ্টমীর দিন জন্মগ্রহণ করেছিলেন বাবা লোকনাথ ব্রহ্মচারী (Lokenath Brahmachari)। তবে শ্রীকৃষ্ণের থেকে বাবা লোকনাথকে দেবাদিদেব মহাদেবের সাথে বেশি সম্পর্কিত বলে মনে করা হয়। লোকনাথ ব্রহ্মচারীকে (Lokenath Brahmachari) অনেকে ‘শিব লোকনাথ’ নামেও ডেকে থাকেন। তবে এর পিছনের কারণ কী?
আজ জানব লোকনাথ ব্রহ্মচারীর (Lokenath Brahmachari) সেই অসাধারন কাহিনী
লোকনাথ ব্রহ্মচারীর (Lokenath Brahmachari) গুরু ছিলেন ভগবান গঙ্গোপাধ্যায়। গুরুর হাত ধরেই তিনি ত্যাগ করেন সংসারের মায়া। নানান কঠোর তপস্যার জন্য বাবা লোকনাথ (Baba Lokenath) পাড়ি দেন সুদূর হিমালয়। হিমালয়ের চারদিকে শুধুই বরফ। প্রকৃতি শয়তানির অবর্ণনীয় লীলা। বাবা লোকনাথের গুরু ভগবান গঙ্গোপাধ্যায় এই প্রতিকূল পরিবেশেই বরফের গুহার মধ্যে বসেন সাধনায়।
আরোও পড়ুন : মাত্র ১ টাকাতেই হয়ে যাবে বুকিং! সঙ্গে মিলবে ৩১ হাজার ছাড়, আজই ঘরে আনুন দুর্দান্ত এই স্কুটার
তবে বাবা লোকনাথ সেই গুহা ত্যাগ করে খোলা আকাশের নিচেই শুরু করেন সাধনা। এভাবেই কেটে যেতে থাকে মাসের পর মাস, বছরের পর বছর। ধ্যানমগ্ন বাবা লোকনাথের (Lokenath Brahmachari) শরীর ঢেকে যেত বরফে। বাবা লোকনাথের এই অবস্থা গুহার মধ্যে থেকেই লক্ষ্য করতেন তাঁর গুরু ভগবান গঙ্গোপাধ্যায়। বাবা লোকনাথের অনুগামীরা দাবি করেন, হিমালয়ে থাকাকালীন লোকনাথ বাবার শরীরে জমা বরফ ৯০ বার গলে জল হয়ে গিয়েছিল।
আরোও পড়ুন : আসল নাকি নকল! আধার কার্ডের বৈধতা যাচাই করবেন কিভাবে? মাথায় রাখুন এই পদ্ধতিটি
গুরুদেব ভগবান গঙ্গোপাধ্যায় (Bhagaban Gangopadhyay) এভাবেই বুঝিয়েছিলেন যে পার হয়ে গেছে ৯০ টা বছর। তারপর একদিন ঘটল সেই অবিস্মরণীয় ঘটনা। বাবা লোকনাথের সিদ্ধাসনে ভোরের সোনালী রোদ পাহাড়ের গা বেয়ে এসে পড়েছে। সেদিকে যখন ভগবান গঙ্গোপাধ্যায়ের চোখ গেল তখন তিনি দেখলেন যে সিদ্ধাসনে বাবা লোকনাথ নেই, স্বয়ং দেবাদিদেব মহাদেব বসে রয়েছেন সেই স্থানে। ভগবান গঙ্গোপাধ্যায় প্রথমে নিজের চোখকে বিশ্বাস করতে পারেননি।
গুহা থেকে বেরিয়ে এসে ভালো করে দেখতে থাকেন তিনি। তিনি সেই জায়গায় লোকনাথকেই (Lokenath Brahmachari) দেখতে পান। তবে আবার পরমুহূর্তে দেখতে পান মহাদেবকে। ভগবান গঙ্গোপাধ্যায় সেদিনই বুঝেছিলেন যে তাঁর শিষ্য সিদ্ধিলাভ করেছেন। শিবকল্প মহাযোগী বাবা লোকনাথকে প্রণাম করলেন তিনি। এরপর থেকেই ভক্তদের কাছে প্রচার হতে থাকে শিব লোকনাথের কথা।