কমেছে মোদীর জনপ্রিয়তা! এক লাফে বাড়ল রাহুলের সমর্থক, সমীক্ষায় উল্টাপূরান

বাংলা হান্ট ডেস্ক : আসন্ন ২০২৪ লোকসভা নির্বাচনের (Lok Sabha Election) আগে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক দক্ষযজ্ঞ। পরপর দুইবার প্রধানমন্ত্রী হওয়া নরেন্দ্র মোদীর জনপ্রিয়তাকে টক্কর দিতে পারে এমন বিরোধীর ঢেউ নেই। CSDS সার্ভে অনুযায়ী, সারা দেশে সবচেয়ে জনপ্রিয় রাজনৈতিক নেতা হিসেবে এক নম্বরেই রয়েছেন নরেন্দ্র মোদি। অবশ্য ভাল খবর রয়েছে রাহুল গান্ধীর জন্যেও।

সাম্প্রতিক একটি সমীক্ষায় দেখা গেছে জোয়ার এসেছে রাহুল গান্ধীর জনপ্রিয়তাতেও। উল্লেখ্য, ২০১৯ সালৈর সমীক্ষায় দেখা গেছিল, দেশের ৪৪ শতাংশ মানুষ প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নরেন্দ্র মোদীকে পছন্দ করতেন। তবে ২০২৩ সালে এসে সেই পরিসংখ্যান ১ শতাংশ কমেছে। এদিকে রাহুল গান্ধীর জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি পেয়েছে ৩ শতাংশ। চলতি বছরে ২৭ শতাংশ উত্তরদাতার সমর্থন পেয়েছেন তিনি।

যদিও সেই সমীক্ষায় এখনও প্রধানমন্ত্রী পদে দেশবাসীর প্রথম পছন্দ মোদিই (Narendra Modi)। দেশের ৩৯ শতাংশ মানুষ বলছেন, আজকের দিনে নির্বাচন হলে তারা মোদীকেই ভোট দেবেন। অর্থাৎ প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে বিজেপির তুলনায় কংগ্রেস এখনও অনেকটাই পিছিয়ে রয়েছে। উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, কর্নাটকের বিধানসভা ভোটে হেরে যাওয়ার পরেও মোদির জনপ্রিয়তায় ভাঁটা পড়েনি। ২০১৯ সালের তুলনায় ২০২৩ সালে বিজেপির ভোট শতাংশ বেড়েছে।

সমীক্ষায় এখনও গেরুয়া শিবির এগিয়ে থাকলেও লক্ষণীয় যে, এই পরিসংখ্যান এনডিএ এবং বিরোধী জোটের নয়। তাই জরিপে ভোটের ভাগে পার্থক্য থাকতে পারে, বিশেষ করে নির্বাচনের আগে যখন নতুন জোট গঠন হচ্ছে। ২০১৯ সালের পর দেশের রাজনীতিতে তৈরি হয়েছে নতুন সমীকরণ। বিরোধীদলের জোট বেড়েছে। হাত ছেড়েছে নীতীশ কুমারের জেডিইউ, শিবসেনার উদ্ধব ঠাকরের দল এবং শিরোমণি আকালি দলের মত মিত্ররা।

এমতাবস্থায় কংগ্রেসের ভোট বৃদ্ধি বিজেপির জন্য একটা মাথাব্যথার কারণ বটে বৈকি! সাম্প্রতিক সমীক্ষা অনুযায়ী বিজেপি যেখানে ৩৯ শতাংশ ভোট নিজের নামে করতে সক্ষম সেখানে কংগ্রেসর সমর্থক সংখ্যাও নেহাত কম নয়। প্রায় ২৯ শতাংশ মানুষ ঝুঁকেছে কংগ্রেসের দিকে। লক্ষণীয় বিষয় হল, ২০১৯ থেকে ২০২৩ এর মধ্যে বিজেপির ভোট সংখ্যা বেড়েছে মাত্র ১.৩ শতাংশ। সেখানে কংগ্রেসের ভোট বেড়েছে প্রায় ৯.৩ শতাংশ।

bots behind rise in rahul gandhis twitter popularity

উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে কংগ্রেস ১৯.৬৭ শতাংশ ভোট নিজের দখলে করতে সক্ষম হয়েছিল। এমন পরিস্থিতিতে মুদ্রাস্ফীতি বা মণিপুর ভায়োলেন্সের মত ঘটনা নরেন্দ্র মোদীর জনপ্রিয়তায় প্রভাব ফেলতে পারে বলে সন্দেহ করছেন অনেকেই। বিশেষ করে CSDS সমীক্ষা অনুযায়ী দেশের ৫৭ শতাংশ মানুষ পণ্যের ক্রমবর্ধমান দাম নিয়ে মোদী সরকারের প্রতি খুশি নন। ৩৩ শতাংশ মানুষ বলছে, বিগত কয়েক বছরের নানা ঝামেলায় বিশ্বের বাকি দেশ যেখানে হাল ছেড়ে দিয়েছে সেখানে দূর্দান্ত কাজ করে দেখিয়েছে মোদী সরকার।

Moumita Mondal
Moumita Mondal

মৌমিতা মণ্ডল, গ্র্যাজুয়েশনের পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। বিগত ৩ বছরেরও বেশি সময় ধরে লেখালেখির সাথে যুক্ত। প্রায় ২ বছর ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর