বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ২০২৪ লোকসভা ভোটের (Loksabha Vote) লাইমলাইটে সায়নী ঘোষ (Saayoni Ghosh)। যাদবপুরে এবার জোড়াফুল প্রার্থী তৃণমূলে যুবসভানেত্রী সায়নী। সম্প্রতি হলফনামা জমা দিয়েছেন তিনি। আর তারপরই শুরু বিতর্ক। দেখা যাচ্ছে হলফনামায় যে তথ্য সায়নী দিয়েছেন, তার সঙ্গে ২০২১ সালে তার দেওয়া হলফনামার হিসেবনিকেশ মিলছে না৷ রয়েছে বিস্তর গরমিল। এবার প্রশ্ন উঠছে তাহলে কী এই কারণে এবার শেষ মুহূর্তে মনোনয়ন বাতিল হতে পারে সায়নীর?
প্রসঙ্গত, এর আগে ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে দাঁড়িয়েছিলেন সায়নী। আসানসোল দক্ষিণ থেকে প্রার্থী হয়েছিলেন এই তারকা। তখনও হলফনামা জমা দিয়েছিলেন সায়নী। সেবার তার দেওয়া হলফনামায় ২০১৮-১৯ এবং ২০১৯-২০ অর্থবর্ষের আয়ের হিসেব দেওয়া ছিল৷ তবে এবারে দেওয়া তথ্যের সঙ্গে গত বারের দেওয়া হিসেব মিলছে না। আর এখানেই উঠছে প্রশ্ন।
২০২৪ সালের জমা দেওয়া হলফনামা অনুসারে, ২০১৮-১৯ অর্থবর্ষে সায়নীর আয় ছিল ৪ লক্ষ ৫৬ হাজার৷ ২০১৯-২০ অর্থবর্ষে তা দাঁড়ায় ৩ লক্ষ ৭৮ হাজার ৩৮০ টাকায়৷ ২০২০-২১ এ তা আরও কমে হয় ২লক্ষ ৪০ হাজার ৪৬০টাকা। ২২-২২ অর্থবর্ষে সায়নীর আয় ছিল ৩ লক্ষ ৫৯ হাজার ১৬০ টাকা ৷ ২০২২-২৩ এ তা হয় ৪ লক্ষ ৭১ হাজার ৪৯০ টাকা।
ওদিকে ২০২১ সালে বিধানসভা নির্বাচনের সময় জমা দেওয়া হলফনামা অনুযায়ী ২০১৮-১৯ অর্থবর্ষে সায়নী ঘোষের বার্ষিক আয় ছিল ৫ লক্ষ ৬৮ হাজার ১৩৩ টাকা৷ এদিকে ২০২৪ সালের দেওয়া হলফনামায় ওই একই অর্থবর্ষে সায়নীর বার্ষিক আয় দেখানো হয়েছে ৪ লক্ষ ৫৬ হাজার ৬০ টাকা ৷ এখানেই শেষ নয়। ২০২১ সালের হলফনামা অনুযায়ী ২০১৯-২০ অর্থবর্ষে সায়নীর বার্ষিক আয় ছিল ৪ লক্ষ ৯২হাজার ৫৬৮ টাকা ৷ এবারের হলফনামায় ওই একই অর্থবর্ষে প্রার্থীর বার্ষিক আয় দেখানো হয়েছে ৩লক্ষ ৭৮হাজার ৩৩০ টাকা৷
কোন জাদুবলে বিধানসভা ভোটের প্রার্থী সায়নী আর লোকসভা ভোটের প্রার্থী সায়নীর আয় ভিন্ন হল? কিভাবে একই অর্থবর্ষে এই দু’বছরে দু-রকম আয় হল? কোন তথ্য গোপনের চেষ্টা করছেন সায়নী? কারণ দু’টি হলফনামা অভিনেত্রী নিজে জমা দিয়েছেন। তাহলে কী এবার এই ‘গরমিলের’ জেরে বাতিল হতে পারে সায়নীর প্রার্থীপদ? কী বলছে নির্বাচন কমিশন?
আরও পড়ুন: ‘সব টাকা মিটিয়ে দিতে হবে’, হাই কোর্টে জোর ধাক্কা রাজ্যের! অবশেষে স্বস্তিতে সরকারি কর্মীরা
নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে তৃণমূল প্রার্থী সায়নী ঘোষের হলফনামা নিয়ে কোনও অভিযোগ এখনও পর্যন্ত তাদের কাছে জমা পড়েনি৷ যদি কোথাও এই নিয়ে কোনও অভিযোগ জমা পড়ে, তখন অভিযোগকারীর অভিযোগটি কমিশনের ওয়েবসাইটে তুলে দেওয়া হয়। তবে এই তথ্যগত অসঙ্গতির জন্য তার প্রার্থীপদে কোনও সমস্যা হবে না বলেই মত কমিশনের। যদি এই নিয়ে অভিযোগকারী যদি আদালতে মামলা করে, তাহলে আদালতই এক্ষেত্রে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে৷