বড় ধাক্কা! ভোটে লড়তে পারবেন না মহুয়া? তৃণমূল প্রার্থীর বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে বড় কথা জানাল পার্লামেন্ট

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ একের পর এক ধাক্ক মহুয়ার। এবার লোকসভার সচিবালয় (Loksabha Secretariat) সুপ্রিম কোর্টকে (Supreme Court) জানিয়ে দিল মহুয়া মৈত্র (Mahua Moitra) লোকসভা থেকে তাকে বহিস্কারের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে আদালতে যে মামলা করেছিলেন তা খতিয়ে দেখতে পারে না শীর্ষ আদালত। এই বিষয়ে সংবিধানের ১২২ নম্বর ধারার উল্লেখ করে দেখানো হয়েছে, সংসদ তাদের অভ্যন্তরীন কাজকর্মে নিজেরাই সিদ্ধান্ত নেবে। সেখানে আদালত কোনও হস্তক্ষেপ করতে পারে না।

তৃণমূল নেত্রী মহুয়া মৈত্রর মামলা বর্তমানে সুপ্রিম কোর্টে বিচারাধীন। সর্বোচ্চ আদালতের বিচারপতি সঞ্জীব খান্না ও বিচারপতি দীপঙ্কর দত্তের বেঞ্চ এই মামলা শুনছিলেন। আদালতে মহুয়ার আর্জি প্রসঙ্গে লোকসভার সচিবালয় জানিয়েছে, সংবিধানের আওতায় সংসদ একটি সার্বভৌম বডি। সংবিধানের ধারা অনুসারে তার কাজে আদালতের হস্তক্ষেপ চলতে পারে না।

প্রসঙ্গত ২০২৩ সালের ৮ ডিসেম্বর লোকসভার এথিক্স কমিটির প্রস্তাব মেনে মহুয়া মৈত্রকে লোকসভা থেকে বহিষ্কার করা হয়। তারপরই সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন মহুয়া। লোকসভায় মহুয়ার বিরুদ্ধে মোটা অঙ্কের টাকা ঘুষের বিনিময়ে প্রশ্নের অভিযোগ তুলেছিলেন বিজেপি সাংসদ নিশিকান্ত দুবে। পরে মহুয়ার প্রাক্তন বন্ধু জয় অনন্ত দেহাদ্রাইও এর সাথে আরও একাধিক অভিযোগ জুড়ে দেন। এরপরই অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করে লোকসভার এথিক্স কমিটি।

এরপর সেই তদন্তের রিপোর্ট লোকসভায় পেশ করে এথিক্স কমিটি। মহুয়াকে বহিষ্কারের সুপারিশ করা হয়। তার ভিত্তিতেই তৃণমূল নেত্রীকে বহিষ্কার করার প্রস্তাব পাশ করা হয়। সেই বহিষ্কারকে চ্যালেঞ্জ করে মহুয়া আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন। তবে সেখানেও বার বার ধাক্কা খাচ্ছেন তিনি। আগামী ৬ মে সুপ্রিম কোর্টে মহুয়া মামলার শুনানির দিন পড়েছে বলে সূত্রের খবর।

mahua moitra (1)

আরও পড়ুন: ঝুলেই রইল ‘কালীঘাটের কাকু’-র ভাগ্য! ১১-র বদলে এবার নজরে ১৮, নিয়োগ দুর্নীতিতে নয়া মোড়?

প্রসঙ্গত, মহুয়া মৈত্রর বিরুদ্ধে ব্যবসায়ী দর্শন হীরানন্দানির কাছ থেকে উপহার ও টাকার বিনিময়ে সংসদে শিল্পপতি গৌতম আদানির সংস্থার বিষয়ে প্রশ্ন তোলার অভিযোগ ওঠে। পাশাপাশি সাংসদের লগইন আইডি ও পাসওয়ার্ডও দর্শনকে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে মহুয়ার বিরুদ্ধে।

Sharmi Dhar
Sharmi Dhar

শর্মি ধর, বাংলা হান্ট এর রাজনৈতিক কনটেন্ট রাইটার। উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতায় স্নাতকোত্তর। বিগত ৩ বছর ধরে সাংবাদিকতা পেশার সঙ্গে যুক্ত ।

সম্পর্কিত খবর