বাংলাহান্ট ডেস্ক : সমস্ত উৎসব শেষ। আর এই মন ভারী করা সময়েই আরো খারাপ খবর দিলেন সঙ্গীতশিল্পী লোপামুদ্রা মিত্র (Lopamudra Mitra)। এক কাছের মানুষকে হারিয়েছেন তিনি। সোশ্যাল মিডিয়ায় দুঃসংবাদ ভাগ করে নিয়ে লোপামুদ্রা জানিয়েছেন, এই মানুষটার জন্যই আবারো শুরু হয়েছিল জয় লোপা এক্সপ্রেস। কিন্তু সেই মানুষটাই আর রইলেন না। মন ভারাক্রান্ত গায়িকার।
সোশ্যাল মিডিয়ায় মন খারাপ করা পোস্ট লোপামুদ্রার (Lopamudra Mitra)
প্রয়াত ষষ্ঠী দাস বাউল। বাউল গানের অতি পরিচিত নাম ষষ্ঠী দাস বাউল ছিলেন জয় সরকার এবং লোপামুদ্রা মিত্রের (Lopamudra Mitra) খুবই কাছের মানুষ। তাঁর জন্যই ফের জয় লোপা এক্সপ্রেস শুরু করেছিলেন তাঁরা। কিন্তু তিনিই ফাঁকি দিয়ে চলে গেলেন না ফেরার দেশে। সোশ্যাল মিডিয়াতেই মনের কষ্ট ভাগ করে নিয়েছেন সঙ্গীতশিল্পী।
আরো পড়ুন: হাসপাতালে গিয়েই ছোট্ট বউকে চুমু, তুললেন নিজস্বীও! ফের সন্তান সুখ পেতেই গদগদ কাঞ্চন
প্রয়াত ষষ্ঠী দাস বাউল
ষষ্ঠী দাস বাউলের সঙ্গে একটি ছবি শেয়ার করেছেন লোপামুদ্রা (Lopamudra Mitra)। সঙ্গে তিনি লিখেছেন, ‘এতো তাড়াতাড়ি ষষ্ঠীদা চলে যাবেন, ভাবিনি। শুধু মনে হচ্ছে, জয় – লোপা এক্সপ্রেস, যে কারণে কাজ শুরু করছে, তার প্রথম কারণ ছিল ষষ্ঠী দাস বাউল দাদার চিকিৎসার জন্য কিছু অর্থ সংগ্রহ করা। অনুষ্ঠান স্থগিত রেখেও গত ১৩ সেপ্টেম্বর , ২০২৪ , আমরা আমাদের প্রাথমিক কাজটা করে এসেছিলাম। অনেক ইচ্ছে মনের ভেতরেই থেকে গেল। পরলোকে ভালো থেকো বাউল দাদা। আবার দেখা হবে, আমার মনের মানুষের সনে।’
আরো পড়ুন: থালা বাজিয়ে চিতা তাড়াল শ্যামলী! দেদার ট্রোল নেটপাড়ায়, TRP বাড়ানোর নিনজা টেকনিক?
তাঁর জন্যই ফেরে জয় লোপা এক্সপ্রেস
গত ১৩ ই সেপ্টেম্বর বিড়লা সভাঘরে একত্রে অনুষ্ঠান করার কথা ছিল জয় এবং লোপামুদ্রার (Lopamudra Mitra)। ঠিক হয়েছিল ওই অনুষ্ঠানের টিকিট থেকে প্রাপ্ত অর্থ তুলে দেওয়া হবে ষষ্ঠী দাস বাউলের চিকিৎসার কাজে। কিন্তু আরজিকর কাণ্ডের প্রতিবাদে সে সময়ে বাতিল হয়ে গিয়েছিল সেই অনুষ্ঠান। যদিও ওই দিনই চারণ ফাউন্ডেশনের সঙ্গে শিল্পীর বাড়িতে গিয়ে কিছু আর্থিক সাহায্য দিয়ে এসেছিলেন জয় লোপা (Lopamudra Mitra)।
জয় লোপা এক্সপ্রেস আবারো শুরু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন দুই শিল্পী। কিন্তু রইলেন না ষষ্ঠী দাস বাউল। জয় লোপা এক্সপ্রেসের বিষয়ে একবার সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্ট করেছিলেন সঙ্গীত পরিচালক জয় সরকার। তিনি জানিয়েছিলেন, ১৯৯৭ থেকে ২০০৭ সাল পর্যন্ত মঞ্চে লোপামুদ্রায সঙ্গে তিনি গিটারে সঙ্গত দিতেন। ২০০৭ এর পর নিজের সঙ্গীত পরিচালনার কাজ নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়েছিলেন জয়। বাধ্য হয়ে গায়িকাকেও খুঁজতে হয়েছিল অন্য গিটার বাদক। তবে একসঙ্গে পারফর্ম করতে গিয়ে প্রেম শুরু হয়েছিল জয় এবং লোপার। আর তারপর বিয়ে। তবে মঞ্চে একসঙ্গে পারফর্ম করাটা মিস করতেন দুজনেই। সেই থেকেই তাঁদের জয় লোপা এক্সপ্রেসের ভাবনা এবং সূত্রপাত।
View this post on Instagram