তারকেশ্বরের মতো পুণ্যভুমিতে মানুষ হত্যে দিয়ে পড়ে থাকেন বাবার আশীর্বাদ লাভের জন্য। কারন হিন্দুদের কাছে বাবা ভোলানাথ একজন শক্তিশালি দেবতা। তার আশীর্বাদে পাওয়া যায় না এরকম কিছুই নেই। তাই দেবাদি দেবকে সন্তুস্ট করার জন্য মানুষ কিনা করেন। প্রতি সোমবার করে অনেকেই পূজো দিয়ে থাকেন। আর তার পাশাপাশি আবার অনেকেই রোজ পূজো দেন।
মনে রাখা দরকার কি কি জিনিস দিয়ে পূজ দিলে আমাদের পূন্য হতে পারে সেই কথা আমাদের মাথায় রাখা দরকার। গাঁজা ভাঙ খান মহাদেব এমন ধারণা সকলের। তাই ভস্ম দিলে মহাদেব খুবই প্রসন্ন হন। আর সেই সময় ভস্ম দিয়ে পূজো দেওয়া যেতেই পারে। শ্বেত চন্দন দিয়ে শিবলিঙ্গে তিলক কেটে পূজো দিলে ভালো।আর শ্বেত চন্দন শীতল প্রকৃতির, তাই পূজো দেওয়ার সময় সবাই এই চন্দন ব্যবহার করে। মহাদেবের লিঙ্গে শ্বেত চন্দন লাগালে জীবনে সুখ ও শান্তি নেমে আসে।তাই অনেকেই তা ব্যভার করেন। মহাদেবকে বেল নিবেদন করলে, যাঁর নামে নিবেদন করবেন, তিনি দীর্ঘায়ু লাভ করবেন। এই ধারনা দিয়ে অনেকেই বেল পাতা এবং বেল দিয়ে পূজো করেন। আবার অনেকে আকন্দের মালা আর ধূতরো ফুল দিয়েও পূজো করে থাকেন।
বেলপাতা ছাড়া মহাদেবের পুজো অসম্ভব। বেলপাতা দিয়ে পুজো করলে মহাদেব ভক্তের ওপর খুবই সন্তুষ্ট হন,তাই মনে করে তা ব্যবহার করা দরকার । ঠাকুরের সিংহাসন হোক বা বাড়ির যেখানেই মহাদেবকে বসান না কেন, তাঁকে জল-মিষ্টি দিতে ভুলবেন না।আর মনে করে রাখার বিসয়, শিব লিঙ্গ বাড়ির এমন জায়গায় রাখুন যেখানে আপনার নিত্য যাতায়াত রয়েছে। তাহলে সুখ আসবে জীবনে।