বাংলাহান্ট ডেস্কঃ চুল (hair) মানুষের সবথেকে অমূল্য আর রূপ ফুটিয়ে তোলার অংশ। কথায় বলে চুলে থাকে মানুষের রুপ। কিন্তু বর্তমানে বালি ধুলো চুলের হাল খারাপ করে দেয়। চুলের জেল্লা কমিয়ে চুলকে করে তোলে নিস্প্রান। তাতে চুলের হাল হয়ে যায় খারাপ। হাজার তেল শ্যাম্পু দিয়েও চুলের জেল্লা ফেরানো আর সম্ভব হয় না। গরম কাল শীতকাল এবং বৃষ্টিতে চুল খারাপ হতে শুরু করে।
হঠাত্ বৃষ্টিতে গরম থেকে স্বস্তি মিললেও কঠিন হয়ে দাঁড়ায় ত্বকের চুলের যত্ন নেওয়া। আর এর মধ্যে কাজ কর্মের ব্যস্ততা পেরিয়ে আর কিছুই করে হয়ে ওঠা হয় না। আর বৃষ্টিতে চুল ভিজে গেলে তা বেশ অস্বস্তিকর ব্যাপারও বটে। তাই বৃষ্টির দিনে চুলের দিকে একটু বেশিই নজর দেওয়া অবশ্যই দরকার হয়ে পড়ে।
স্যাঁতস্যাঁতে আবহাওয়া চুল পড়ার প্রবণতা বাড়ে। এর পাশাপাশি দেখা দেয় খুশকি, আর তার সাথে আবার তৈলাক্ত ভাবও বাড়ে। বারেবারে শ্যাম্পু না করে সপ্তাহে ২-৩ বার শ্যাম্পু করা উচিত। এতে চুলের মধ্যে আদ্রতা বজায় থাকে আর জেল্লা হারিয়ে যায় না।
চুল ধোয়ার পর মাথা তারা তাড়াতাড়ি শুকিয়ে ফেলা দরকার আর বৃষ্টির জল মাথায় পড়লে বেশিক্ষণ মাথার তালুতে ও চুলের গোড়ায় ফাঙ্গাল ইনফেকশন হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দেয়। আর রাতে ঘুমাতে জাওয়ার আগে একবার তেল গরম করে মাথায় দিলে তা মাথার ত্বকের জন্য খুব উপকার হয়।
গরম তেলের মালিশ খুবই উপকারী হিসেবে কার্যকর হয়েই থাকে, তাই রাতে গরম নারকেল তেল দিয়ে ভালো করে মাথায় মালিশ করা দরকার। তেল দেওয়া হয়ে গেলে গরম জলে তোয়ালে দিয়ে মাথায় তাপ নিলে ভালো হয়। চুল ভিজে গেলে তা ভালো করে হাওয়া দিয়ে শুকিয়ে নিতে হবে এতে চুলের গোড়া ভালো থাকে। আর এসব নিয়ম মেনে চললে চুলের ক্ষতি হয় না।