বাংলাহান্ট ডেস্ক : ২০১৪ সালের প্রাথমিক টেট (TET) পরীক্ষার উত্তরপত্রই (OMR Sheet) খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। ঘটনার সিবিআই (CBI) তদন্তের নির্দেশ বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। মামলাকারী শান্তনু শিট এবং রাহুল চক্রবর্তীর মামলায় মঙ্গলবার কলকাতা হাইকোর্টে (Kolkata High court) প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের আইনজীবী জানান, সমস্ত রেকর্ড নষ্ট হয়ে গেছে। কুমির ছানার মতো একই রিপোর্ট বার বার আদালতের কাছে তুলে ধরেছেন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের আইনজীবীরা। ২০ লক্ষ ৯০ হাজার পরীক্ষার্থী পরীক্ষা দিয়েছিল সেবার। সাবাইকে অবাক করে সেই উত্তর পত্রই বেপাত্তা।
২০২১ সালে বিধানসভা নির্বাচনের আগে রাজ্যে সরকারি চাকরিতে হাজার হাজার নিয়োগের স্বপ্ন দেখান মুখ্যমন্ত্রীর। কিন্তু সেই স্বপ্ন বাস্তবে রূপ পায়নি। কারণ ২০১৪ প্রাথমিকে নিয়োগের পরীক্ষার নিয়োগেও স্থগিতাদেশ জারি করে আদালত। হাইকোর্ট নির্দেশ দেয়, ওই পরীক্ষার উত্তরপত্র আবার মূল্যায়ণ করতে হবে পর্ষদকে। ২০২১ সালের মার্চে আবারও মামলার শুনানি হবে বলে জানা যায়। কিন্তু তার মধ্যে রাজ্যে কোভিড বিধি লাগু হয়ে যায়। ফলে ভোটের আগে নিয়োগ সম্ভব হয়নি।
২০২১ সালের ২৩ ডিসেম্বর টেটের নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করতে নির্দেশ দেয় আদালত। সেই মতো বিজ্ঞপ্তিও প্রকাশ করে প্রাথমিক শিক্ষা সংসদ। এর পরই আদালতের দ্বারস্থ হয় কয়েক হাজার পরীক্ষার্থী। তাঁদের দাবি ছিল, ২০১৪ সালের টেট পরীক্ষায় ৬টি প্রশ্ন ভুল ছিল। সেই প্রশ্নগুলিতে পূর্ণমান পেলে তাঁদের নাম মেধাতালিকায় থাকা সম্ভব। তাদের বাদ দিয়ে মেধাতালিকা তৈরি হলে তাঁরা বঞ্চিত হবেন।
সংদের তরফে জানানো হয়, ভুল প্রশ্নে কোনও নম্বর দেওয়া হয়নি। তালিকা তৈরি হয়েছে শুধুমাত্র সফল পরীক্ষার্থীদের নিয়ে। ভুল প্রশ্নে নম্বর দিলে কতজন নতুন করে মেধাতালিকায় আসতেন তা খাতা না দেখে বলা সম্ভব নয়। এর পরই ফের খাতা দেখার নির্দেশ দেন বিচারপতি রাজর্ষী ভরদ্বাজ। আদালত জানায় আগামী মার্চের মধ্যে জমা দিতে হবে রিপোর্ট। কিন্তু এরই মধ্যে রহস্যজনক ভাবে উধাও হয়ে গেল পরীক্ষার খাতাই।