মৎস্যজীবীদের জালে ১০৯ টি ভোলা মাছ! যেই দামে বিক্রি হল ক্যানিংয়ে, শুনলে হয়ে যাবেন হাঁ

বাংলা হান্ট ডেস্ক: ফের মৎস্যজীবীদের জালে ধরা পড়ল বহুমূল্যবান ভোলা মাছ। জানা গিয়েছে, এবার ১০৯ টি বিশালাকার ভোলা মাছ ধরা পড়েছে জালে। মূলত, সুন্দরবনের নদী-খাড়ি থেকে ধরা পড়া এই বিপুল সংখ্যক ভোলা মাছগুলি বিক্রির উদ্দেশ্যে রবিবার রাতে ক্যানিংয়ে নিয়ে আসা হয়। আর সেখানেই কার্যত রেকর্ড দামে বিক্রি হয়েছে এই মাছগুলি।

আরও জানা গিয়েছে, জালে ধরা পড়া ভোলা মাছগুলির এক একটির ওজন ছিল প্রায় ১৪ থেকে ১৬ কেজি। পাশাপাশি এই মাছ প্রতি কেজি ৯০০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। এভাবেই প্রায় ১৫ কুইন্ট্যাল ভোলা মাছ বিক্রি হয় তেরো লক্ষ পঞ্চাশ হাজার টাকায়। স্বাভাবিকভাবেই এই ঘটনায়, বিপুল লাভের মুখ দেখেছেন মৎস্যজীবীরা।

কেন চড়া দামে বিক্রি হয় ভোলা মাছ?:
মূলত, চিকিৎসার ক্ষেত্রে এই মাছ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। যে কারণে এগুলির বিপুল চাহিদা থাকে। আর দামও থাকে আকাশছোঁয়া। একাধিক গুরুত্বপূর্ণ ওষুধ তৈরির পাশাপাশি এই মাছের পটকা থেকে অস্ত্রোপচারের পর মানুষের শরীরে সেলাই করার সুতো তৈরি হয়। পাশাপাশি, ক্যাপসুলের খাপ তৈরিতেও কাজে লাগে এই মাছ।

এদিকে, ১৪ তারিখ থেকে জুন মাসের ১৫ তারিখ পর্যন্ত ইলিশ মাছের প্রজননের জন্য সরকারি ভাবে সুন্দরবনের নদীগুলিতে মাছ ধরা বন্ধ থাকে। এমনকি, সমস্ত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারের উপরেও এই নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। এমতাবস্থায়, একসাথে এত ভোলা মাছ কিভাবে মৎস্যজীবীদের জালে উঠল এই নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।

এই প্রসঙ্গে, ক্যানিং ১ ব্লকের মৎস্য আধিকারিক অরুণকুমার দেব জানিয়েছেন, গত ১৪ এপ্রিল থেকে ১৫ জুন পর্যন্ত এই সময়টা হল ইলিশ মাছের প্রজননের সময়। যে কারণে এই সময় নদীতে মাছ ধরলে ইলিশের প্রজনন নষ্ট হয়। এরই মাঝে কিভাবে মৎস্যজীবীরা মাছ ধরলেন তা খতিয়ে দেখা হবে।

telia bhola fish e1635397559213 859x639 1

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, সম্প্রতি সুন্দরবনের রায়মঙ্গল নদীতে মৎস্যজীবীদের জালে ধরা দেয় একটি বৃহদাকার ক্রোকডাইল মাছ। ওই মাছটি প্রায় ৩ ফুট লম্বা ও ১ ফুট চওড়া ছিল। এছাড়াও, ধরা পড়া এই বিরল মাছটির ওজন ছিল প্রায় ২১ কেজি ২০০ গ্রাম। হিঙ্গলগঞ্জ মৎস্য বাজারে নিয়ে আসার পর এই বৃহদাকার মাছটির দাম ওঠে ১৮,৪৩০ টাকা।


Sayak Panda
Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর