বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ভোটের মুখে ফের ভাঙন শাসক দল তৃণমূলে। এবার পূর্ব বর্ধমানে তৃণমূলের প্রাক্তন পঞ্চায়েত প্রধান ও জেলা সভাপতি সহ শয়ে শয়ে আদিবাসীরা যোগ দিলেন বিজেপিতে। গতকাল মানকড়ে বিজেপির তরফ থেকে একটি জনসভা করা হয়েছিল।
ওই জনসভায় উপস্থিত ছিলেন সদ্য তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়া পূর্ব বর্ধমানের সাংসদ সুনীল মণ্ডল। এছাড়াও ওই সভায় উপস্থিত ছিলেন উত্তর মালদহের সাংসদ খগেন মুর্মু এবং বিজেপির সংখ্যালঘু নেত্রী মাফুজা খাতুন। এই সভাতেই সাংসদ সুনীল মণ্ডলের হাত ধরে কয়েকশ আদিবাসী বিজেপিতে যোগ দেন।
গতকাল এই অনুষ্ঠানে বিজেপিতে যোগ দেন বুদবুদের প্রাক্তন তৃণমূল পঞ্চায়েত প্রধান কাশীনাথ চট্টোপাধ্যায় এবং পূর্ব বর্ধমানের তৃণমূলের সহ সভাপতি সঞ্জীব সাউ। এছাড়াও বিজেপিতে যোগ দেন কয়েকশ আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষ।
উল্লেখ্য, গতকাল নন্দীগ্রামের তেখালির সভা থেকে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একুশের নির্বাচনে তৃণমূলের প্রথম প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেন। তিনি বলেন, একুশের নির্বাচনে তিনি নিজে নন্দীগ্রাম থেকে দাঁড়াবেন এবং জিতবেন। তিনি বলেন, নন্দীগ্রাম আমার জন্য খুব লাকি জায়গা। এখান থেকেই তৃণমূলের জয়ের সূচনা হবে, প্রতিটি আসনে জিতবে তৃণমূল। তিনি এও বলেন যে, ভবানীপুরকে নিরাশ করবেন না তিনি। নেজ করতে পারলে দুই কেন্দ্র থেকেই লড়ার ইঙ্গিত দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই সিদ্ধান্তকে কটাক্ষ করে বিজেপির নেত্রী মাফুজা খাতুন বলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রী বুঝে গিয়েছেন যে মানুষ আর ওনার পাশে নেই। আর সেই কারণে উনি নন্দীগ্রাম আর ভবানীপুর দুই জায়গা থেকেই নির্বাচনে লড়ার ঘোষণা করেছেন। তিনি আসলে নিজেকে জেতাতে চাইছেন আর কিছুই না। এটা রাজ্যবাসীর সাথে প্রতারণা করার আরেকটা উপায় মাত্র।”