বাংলাহান্ট ডেস্ক : হুগলির আরামবাগের মাধবপুর অঞ্চলের মহিষগোটের বাসিন্দা শেখ মনিরুল ইসলামের সংসারে অভাব নিত্যসঙ্গী। ফেরিওয়ালা মনিরুল কখনও হয়ত কল্পনাও করতে পারেননি ভাগ্য দেবতা এভাবে প্রসন্ন হবেন তার উপর। বিশেষ কাজে হাওড়ায় এসে কেটে ফেলেন লটারির (Lottery) টিকিট। সেই টিকিটেই এখন কোটিপতি ফেরিওয়ালা শেখ মনিরুল ইসলাম।
লটারি (Lottery) কেটেই খুলল কপাল
কাজের সূত্রে হাওড়ায় এসে মনিরুল নিছক আগ্রহের বসেই কেটে ফেলেন ১০ সেমের ডিয়ার লটারির (Dear Lottery) একটি টিকিট। সব মিলিয়ে খরচ হয়েছিল ১২০ টাকা। কাজের সূত্রে বৃহস্পতিবার কলকাতায় এসে লটারির টিকিট মেলাতে গিয়েই এক মুহূর্তের জন্য থমকে যান মনিরুল। দেখেন ১০ সেমের টিকিটে ১ কোটি টাকার পুরষ্কার (Prize) জিতে গিয়েছেন তিনি।
আরও পড়ুন : প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় নতুন মোড়! এবার জামিন পেলেন একসময়ের তৃণমূলের ‘হেভিওয়েট’
একাধিক সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর, আরামবাগের মাধবপুর অঞ্চলের মহিষগোটের বাসিন্দা মনিরুল ইসলাম পেশায় ফেরিওয়ালা। জিনিসপত্র ফেরি করেই চলে দিনা আনা দিন খাওয়া সংসার। অনেকেই বলেছেন, ভাগ্য বদলের আশায় মাঝেমধ্যেই লটারির টিকিট কাটতেন মনিরুল। তবে সেই লটারি যে এভাবে রাতারাতি ফেরিওয়ালা মনিরুলকে কোটিপতি করে দেবেন তা আন্দাজ করতে পারেননি কেউই।
আরও পড়ুন : কোনও ভাবেই কাজে বাধা দেওয়া যাবে না! এবার কড়া নির্দেশ দিয়ে দিল হাইকোর্ট! কোন মামলায়?
মনিরুলের কোটিপতি হওয়ার সংবাদে এখন আনন্দের জোয়ার পরিবারে। হতদরিদ্র মনিরুলের ভাগ্যে যে এভাবে কোটি টাকার প্রাপ্তি যোগ ছিল তা স্বপ্নেও কল্পনা করেনি মনিরুলের পরিবার। জানা গেছে, বিকালে হাওড়ার একটি দোকান থেকে লটারির টিকিট কিনে সেদিন কলকাতায় সাড়ে আটটা নাগাদ অন্য একটি দোকানে টিকিট মিলিয়েছিলেন মনিরুল।
তারপর বাকিটা যেন স্বপ্ন। হুগলির (Hooghly) বাসিন্দা মনিরুল সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, লটারি (Lottery) টাকার অধিকাংশই তিনি ব্যবহার করবেন বাড়ি ও জমি কেনার জন্য। বাকি টাকা ভবিষ্যতের জন্য সঞ্চয় করে রাখবেন ব্যাংকে। মনিরুলের বাবা শেখ শহিদুল ইসলামও এক মত ছেলের সাথে।