বাংলাহান্ট ডেস্ক : পূর্ব বর্ধমান জেলার আউশগ্রামের বামাচরণের সংসার চলে চাষাবাদ ও পশুপালন করে। অভাব নিত্য দিনের সঙ্গী। পূর্ব বর্ধমান জেলার আউশগ্রামের ডাঙ্গাপাড়া এলাকায় বামাচরণ মেটে একটি ছোট্ট বাড়িতে বাস করেন বিধবা মা, স্ত্রী ও দুই সন্তানকে নিয়ে। বামা স্ত্রীর কাছ থেকে ১০০ টাকা নিয়ে গিয়েছিলে সার কিনতে।
লটারি টিকিট (Lottery Ticket) কেটেই খুলল কপাল
তবে সেই সার কিনতে গিয়ে যে ভাগ্যের চাকাই ঘুরে যাবে তা কখনো কল্পনাও করেননি বামাচরণ। বামাচরণ বাজারে গিয়েছিল পটাশ সার কিনতে। তবে বাজারে গিয়ে দেখেন সারের দোকান বন্ধ। অন্য একটি দোকান খোলা থাকলেও সেখানে পটাশ সার নেই। তারপর বামাচরণ সেই ১০০ টাকার মধ্যে থেকে ৬০ টাকা দিয়ে কিনে ফেলেন লটারির টিকিট (Lottery Ticket)।
দুপুরে খেতে বসে সেই টিকিট (Lottery Ticket) মেলাতে গিয়ে অবাক হয়ে যান তিনি। তিনি দেখেন লটারির ফলাফলে প্রথম বিজয়ী নম্বরের টিকিটটি তার। বামাচরণের লটারিতে টাকা জেতার খবর মুহুর্তে ছড়িয়ে পড়ে গ্রাম জুড়ে। সেই গ্রামের বাসিন্দারা এখন রীতিমতো উচ্ছসিত। নিরাপত্তার জন্য ভাইপোকে নিয়ে বামাচরণ পৌঁছে গিয়েছিলেন ছোড়া ফাঁড়িতে।
আরোও পড়ুন : ‘আপনাকে অ্যাটাক করতে পারিনি বলেই…’! মমতা শাড়ি-পাঞ্জাবি পাঠাতেই খোলা চিঠি রূপাঞ্জনার
পুলিশ কর্মীরা বামাচরণকে নিরাপত্তার আশ্বাস দিয়েছেন। এইভাবে যে রাতারাতি কোটিপতি হয়ে যাবেন তা এখনো বিশ্বাস করতে পারছেন না বামাচরণ ও তার পরিবারের সদস্যরা। বেশ কিছু নিয়মের মধ্যে দিয়ে গিয়ে বামাচরণ হাতে পাবেন লটারির টাকা। তবে এভাবে দিন আনা দিন খাওয়া সংসারে লটারির (Lottery Ticket) দৌলতে যে সুদিন আসতে চলেছে তা বলাই যায়।
সেদিনের কথা বলতে গিয়ে বামাচরণ বলেন, ‘ওইদিন দুই সিরিজের টিকিট (Lottery Ticket) কিনি। দাম পড়ে ৬০ টাকা। অভাবের সংসারে এই টাকার দাম অনেক। টিকিটের কথা বাড়িতে কাউকে বলিনি। এরপর আমি মাঠে ছাগল চড়াতে যাই। বাড়ি এসে খেতে বসার সময় টিকিটের নম্বর মিলিয়ে দেখি আমি ফার্স্ট প্রাইজ পেয়েছি।’