বাংলাহান্ট ডেস্ক : লটারি (Lottery) কেটে অনেকের ভাগ্যের চাকাই ঘুরে যায়। তবে সবার ভাগ্যে তো আর সেই সুখ জোটে না। তবে এক সবজি বিক্রেতার জীবন পাল্টে গেল এই লটারি কেটে। ৩০ টাকার লটারি কেটে বালুরঘাটের বিশ্বনাথ এখন কোটিপতি। পেশায় সবজি বিক্রেতা বিশ্বনাথ দাস বালুরঘাট শহরের ২ নম্বর ওয়ার্ডের বট কৃষ্ণপল্লী এলাকার বাসিন্দা। লটারিতে কোটি টাকার খবর প্রথমে বিশ্বাসই হয়নি তার।
কিছুটা ধাতস্থ হতে এই সবজি বিক্রেতা রীতিমতো আতঙ্কিত এতগুলো টাকা পেয়ে। এতগুলো টাকা যে তিনি এভাবে পেয়ে যাবেন তা কল্পনাও করেননি কখনো। লটারি থেকে পাওয়া অর্থ দিয়ে সন্তানদের পড়াশোনা করাবেন বলে মনস্থির করেছেন বিশ্বনাথ। এছাড়াও তার ইচ্ছা রয়েছে একটি বাড়ি তৈরি করার। লটারি থেকে কোটি টাকা জেতার পর কাউকে কিছু জানাননি বিশ্বনাথ।
আরোও পড়ুন : আর চিন্তা নেই! এবার রাতে মেট্রো করেই ফিরতে পারবেন ঘরে, বদলাচ্ছে সময়সূচি! দেখুন টাইমটেবিল
তবে বৃহস্পতিবার মাইকিং করায় এই খবর ছড়িয়ে পড়ে গোটা এলাকায় জুড়ে। বিশ্বনাথের স্ত্রী ও ছেলে মেয়ে রয়েছে। সবজি বিক্রি করে কোনও মতে সংসার চলে তার। সবজি বিক্রি করে প্রতিদিন ২০০ টাকা রোজগার করতেও নাভিশ্বাস উঠে যেত বিশ্বনাথ দাসের। বিশ্বনাথের স্ত্রী পরিচারিকার কাজ করেন। বিশ্বনাথ জানিয়েছেন, তিনি ১৮ বছর বয়স থেকে লটারি কেটে আসছেন। লটারি কাটা তার কাছে রীতিমতো নেশার মতো।
অভাবের সংসারে এভাবে লটারি কাটতেন বলে মাঝেমধ্যে অশান্তিও হত। তবুও লটারি কাটার নেশা থেকে বের হতে পারেননি বিশ্বনাথ। সবজি বিক্রি করে বুধবার রাতে বাড়ি ফেরার পথে বিশ্বনাথ ৩০ টাকা দিয়ে লটারি কাটেন পাওয়ার হাউজ এলাকার রোহিত চৌধুরী নামে এক ব্যবসায়ীর কাছ থেকে। সেই লটারিই ঘুরিয়ে দিল বিশ্বনাথের ভাগ্যের চাকা। এই ৩০ টাকার লটারি কেটেই এখন কোটিপতি সবজি বিক্রেতা বিশ্বনাথ।