বাংলাহান্ট ডেস্ক : মহারাষ্ট্রে নবনির্মাণ সেনার প্রধান রাজ ঠাকরের একটি বক্তব্যতে তৈরি হওয়া লাউডস্পিকার বিতর্কের ঝড় এসে পৌঁছেছে উত্তরপ্রদেশ এবং মধ্যপ্রদেশেও। রাজ ঠাকরের পর এবার মসজিদে লাউডস্পিকার প্রসঙ্গে বিতর্কিত মন্তব্য করতে শোনা গেল মধ্যপ্রদেশের বিজেপি বিধায়ক রামেশ্বর শর্মাকে। তাঁর দাবি, লাউডস্পিকারে আজান পড়লে ঈশ্বরকে পাওয়া যায় না।
এই প্রসঙ্গে মধ্যপ্রদেশের ওই বিজেপি বিধায়ক রামেশ্বর শর্মা বলেন, ‘লাউডস্পিকারের ক্ষেত্রে আদালতের নির্দেশিকা অনুসরণ করতেই হবে। আজানের সময়ও এই নিয়মের অন্যথা হওয়া উচিত নয়। অন্যথায়, সে উত্তরপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র বা মধ্যপ্রদেশ যেখানেই হোক, সর্বত্র লাউডস্পিকারে হনুমান চালিসা পাঠ করা হবে। লাউড স্পিকারে আজান দিলেই আল্লাকে পাওয়া যায় না, এটা বুঝতে হবে।’
সম্প্রতি নব নির্মান সেনা প্রধান রাজ ঠাকরে বলেন যে মসজিদের উপরে লাগানো লাউডস্পিকারের মাধ্যমেই উচ্চস্বরে আজান পড়া হয়। কর্তৃপক্ষকে এই কাজ বন্ধ করার দাবিও জানান তিনি। শুধু তাইই নয়, মহারাষ্ট্র সরকারকে ৩ মে অবধি চূড়ান্ত সময়সীমা বেঁধে দিয়েছেন ঠাকরে। সেই সময় সীমার মধ্যে মসজিদ থেকে লাউডস্পিকার না খুললে হিন্দুরা লাউডস্পিকারে হনুমান চালিসা পাঠ করবে বলেই জানিয়েছেন তিনি। চলতি মাসের শুরুর দিকে তিনি বলেন, ‘মসজিদে এত উচ্চস্বরে লাউড স্পিকার বাজানো হয় কেন? যখন ইসলাম ধর্মের যাত্রা শুরু হয়েছিল তখন কি লাউডস্পিকার ছিল? এটা বন্ধ না হলে মসজিদের বাইরে অতি উচ্চ স্বরে হনুমান চালিসা বাজানোর ব্যবস্থা করব আমি।’ সেদিন তিনি আরও বলেন, ‘আমি কোনও প্রার্থনা বা ধর্মের বিরোধী নই। কিন্তু আমি আমার ধর্ম নিয়ে গর্বিত।’
উল্লেখ্য, আজ হনুমান জয়ন্তী উপলক্ষে পুনের বিখ্যাত হনুমান মন্দিরে আরতি সারবেন রাজ ঠাকরে। নবনির্মাণ সেনার আর এক নেতা অজয় শিন্ডের দাবি, কুমথেকর রোডে অবস্থিত এই মন্দিরটি পুনরুদ্ধারে সাহায্য করেছিলেন রাজ ঠাকরে।