বিবাহিত স্ত্রীকে ফিরে পেতে শ্বশুরবাড়ির সামনে ধর্ণায় বসেছিল এক যুবক, পুলিশ আসতেই করলো পলায়ন

বাংলাহান্ট ডেস্কঃ প্রেম দিবসে আর একবার সামনে উঠে এল ধূপগুড়ির অনন্ত-দীপিকার প্রেমের গল্প। ভালোবাসার জন্য প্রেমিকার বাড়ির সামনে এবার ধর্নায় বসল স্বয়ং স্বামী। ছয় বছর ধরে প্রেম করার পর বিয়ে করা বউকে শ্বশুরবাড়িতে গোলাপ দিতে গিয়ে ধর্নায় বসল স্বামী।
ঘটনাটি ঘটে বর্ধমান জেলার সরাইটিকরের দক্ষিণপাড়ায়। সরাইটিকরের চ্যান্ডেলপাড়ার পেশায় টোটোচালক শেখ রেজাউল গত ছয়বছর ধরে প্রেম করে সরাইটিকরের দক্ষিণপাড়ার এক তরুণীর সঙ্গে।

IMG 20200215 093333

গত জানুয়ারি মাসে তাঁরা মেয়ের বাড়ির অমতে রেজিস্ট্রি করে বিয়ে করে। এরপর তরুণী বাপের বাড়ি বেড়াতে গেলে ঘটে বিপত্তি। স্বামীর সাথে সমস্ত রকম যোগাযোগ ব্যবস্থা ছিন্ন করে দেয় তাঁর বাড়ির লোকেরা। আর তখনই সন্দেহ হয় রেজাউলের। ভালোবাসার দিনে স্ত্রীকে গোলাপ দিয়ে শুভেচ্ছা জানাতে গিয়ে দেখে শ্বশুরবাড়িতে তালা ঝুলছে। তাঁর ধারণা, তাঁর স্ত্রীকে অন্যত্র নিয়ে গিয়েছে তাঁর শ্বশুরবাড়ির লোকেরা।

যেহেতু তদের এই বিয়েটা তাঁরা কেউই মেনে নিতে পারেনি, তাই এরকম করেছে বলে জানায় সে। আবার তরুণীর এক অবিবাহিত বড় দিদি আছে। কিন্তু সে আগে পালিয়ে গিয়ে বিয়ে করার ঘটোনাতেও বাড়িতে সমস্যার সৃষ্টি হয়। স্ত্রীকে তাঁর বাড়ীতে না পেয়ে এদিন স্বামী রেজাউল স্ত্রীর তালাবন্ধ বাড়ির সামনে ধর্নায় বসে। আমার স্ত্রীকে ফিরিয়ে দেও, আমার ছয় বছর নষ্ট করলে কেন ইত্যাদি লেখা বেশ কয়েকটা প্লাকার্ড এবং তাদের কয়েকটা ঘনিস্ট মুহুর্তের ছবি নিয়ে বন্ধুদের সহযোগিতায় স্ত্রীর বাড়ির সামনে ধর্নায় বসে রেজাউল।

এই অবস্থায় স্থানীয়রা পুলিশে খবর দিলে ঘটনাস্থলে পুলিশ আসে। এবং তাদের আসতে দেখে তড়িঘড়ি ধর্না তুলে নিয়ে টোটো করে পালিয়ে যায় রেজাউল। স্থানীয়রা জানায়, তাঁরা জানতেন যে রেজাউলের সঙ্গে ওই তরুণীর আগে থেকেই সম্পর্ক ছিল। ঘটনার সময় তরুণীর বাড়ীতে কেউ না থাকায় তাদের কারোর সঙ্গে কোনোরকম কথা হয় না পুলিশের।


সম্পর্কিত খবর