শ্রদ্ধা কাণ্ডের ছায়া বাংলাদেশেও! কবিতাকে প্রেমের জালে ফাঁসিয়ে হত্যা করে দেহ ৩ টুকরো করল আবু বকর

বাংলাহান্ট ডেস্ক : লাভ জিহাদের (Love Jihad) ছায়া এবার বাংলাদেশেও (Bangladesh)। প্রেমিকাকে হত্যা করে তার দেহ ৩ টুকরো করে নর্দমায় ভাসিয়ে দিল এক মুসলমান যুবক। নৃশংস এই ঘটনায় কেঁপে উঠেছে দু’দেশই। জানা যাচ্ছে খুলনার গোবরচকা এলাকায় আবু বকর নামে এক মুসলমান যুবক প্রথমে প্রেমের জালে ফাঁসায় এক হিন্দু নারীকে। পরে সেই মহিলাকে হত্যা করে এবং তাঁর দেহকে ৩ টুকরো করে নর্দমায় ফেলে দেয়।

বাংলাদেশের পুলিস ইতিমধ্যেই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে। ঘটনাটি ঘটেছে গত ৭ নভেম্বর। মৃত ওই মহিলার নাম কবিতা রানী। জানা যাচ্ছে, আবু বকর প্রথমে ওই মহিলাকে প্রেমের জালে ফাঁসায়। তারপর তাঁকে হত্যা করে তাঁর দেহকে ৩ টুকরো করে ফেলে। এরপর প্লাস্টিকে সেই দেহকে মুড়ে ফেলে দেয় নর্দমার জলে।

পুলিস সূত্রে জানা যাচ্ছে, মৃত কবিতার সঙ্গে আবু বকরের সাক্ষাৎ হয় ঘটনার ৫ দিন আগে। আবু বকর ছিল আগে থেকেই বিবাহিত। নিজের স্ত্রীর অনুপস্থিতির সুযোগ নিয়ে ভাড়া বাড়িতে নিয়ে আসে কবিতাকে। সেখানে তাদের মধ্যে কোনও কারণে বচসা হয়। রাগের মাথায় গলা টিপে খুন করে আবু। তারপর দেহকে লুকিয়ে ফেলার জন্য রান্না ঘর থেকে নিয়ে আসে ধারাল ছুড়ি। তা দিয়ে প্রথমে তার মাথা কেটে নেয়। তারপর দুই হাতকেও দেহ থেকে আলাদা করে দেয়। এরপর দেহ প্লাস্টিকে মুড়ে ফেলে দেয় নর্দমায়।

তারপরের দিন ৫ অক্টোবর নিজের স্ত্রী স্বপ্নার সঙ্গে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। মাঝপথেই পুলিসের হাতে ধরা পরে যায় তারা। জানা যাচ্ছে স্বপ্না আবু বকরের আইনত স্ত্রী নয়। স্বামী স্ত্রী পরিচয়ে গোবরচক এলাকায় ঘর ভাড়া নিয়ে থাকত তারা। স্বপ্না প্রিন্স হাসপাতল নার্স হিসাবে চাকরি করত।