বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বর্তমানে এদেশের প্রায় প্রত্যেক বাড়িতেই গ্যাস সিলিন্ডারে (LPG Gas Cylinder) রান্না হয়। উনুন, স্টোভের ব্যবহার এখন তেমন চোখে পড়ে না। স্বাভাবিকভাবেই তাই এলপিজি গ্যাস নিয়ে কোনও ঘোষণা করা হলে তার দিকে নজর থাকে আমজনতার। এবার যেমন এলপিজি সিলিন্ডারের গ্রাহকদের জন্য বড় ঘোষণা করা হল।
এলপিজি সিলিন্ডার (LPG Gas Cylinder) নিয়ে কী বলল কেন্দ্র?
এমনিতে গ্যাস কানেকশন নিয়ে মাঝেমধ্যেই সরকারের কাছে কারচুপির অভিযোগ জমা পড়ে। তাই এবার গ্যাস পরিষেবায় স্বচ্ছতা আনার জন্য এবং গ্রাহকদের ভর্তুকি বজায় রাখার জন্য কেন্দ্রের (Central Government) তরফ থেকে ই-কেওয়াইসি বাধ্যতামূলক করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সম্প্রতি কেন্দ্রীয় পেট্রোলিয়াম মন্ত্রী হরদীপ সিং পুরী এই নিয়ে কথা বলেছেন।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পরিষ্কার জানিয়েছেন, এলপিজি গ্যাস সিলিন্ডারের ক্ষেত্রে E-KYC করার কোনও রকম সময়সীমা নির্ধারণ করা হয়নি। একইসঙ্গে কেন এই প্রক্রিয়া চালু করা হয়েছে সেটাও জানিয়েছেন তিনি। তিনি বলেন, বাণিজ্যিক সিলিন্ডারের ভুয়ো বুকিং রুখতে এবং জাল অ্যাকাউন্টগুলিকে নিষ্ক্রিয় করার জন্যই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। শুধুমাত্র প্রকৃত গ্রাহকরাই যাতে গ্যাস সিলিন্ডার পান সেটা সুনিশ্চিত করার লক্ষ্যে E-KYC প্রক্রিয়া শুরু করা হয়েছে। বিগত প্রায় ৮ মাস ধরে এই প্রক্রিয়া চলছে বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুনঃ এই পাঁচ কারণেই ঘুরে যায় ‘খেলা’! ভোটে কেন মুখ থুবড়ে পড়ল BJP? বৈঠকে ‘ফাঁস’ বিস্ফোরক তথ্য
পুরী জানিয়েছেন, E-KYC প্রক্রিয়ায় গ্যাস ডেলিভারি কর্মীরা গ্রাহকদের কাছে সিলিন্ডার (LPG Gas Cylinder) সরবরাহ করা সময় পরিচয়পত্র যাচাই করেন। সেই সঙ্গেই নিজেদের মোবাইলে একটি অ্যাপের দ্বারা গ্রাহকের আধার শংসাপত্রের ছবি তুলে নেন। এরপর সংশ্লিষ্ট গ্রাহকের রেজিস্টার্ড মোবাইল নম্বরে একটি ওটিপি আসে। সেই ওটিপি দিলেই এই প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হয়।
এছাড়া গ্রাহকরা যদি চান, নিজেদের সুবিধা মতো ডিস্ট্রিবিউটরের অফিসে গিয়েও এই বিষয়ে যোগাযোগ করতে পারেন। সেই সঙ্গেই নিজের বাড়িতে বসে মোবাইলে অ্যাপ ইনস্টল করেও এই প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়। সেক্ষেত্রে গ্রাহকদের আইওসি, এইচপিসিএলের মতো সংস্থার অ্যাপ ইনস্টল করে এই কাজ করা যায়। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেন, প্রকৃত গ্রাহককে যাতে কোনও প্রকার সমস্যার সম্মুখীন না হতে হয় সেটা সুনিশ্চিত করতে এই প্রক্রিয়া চালু করা হয়েছে।