বাংলা হান্ট নিউজ ডেস্ক: সানরাইজার্স হায়দরাবাদের (SRH) আইপিএল ২০২৩-এর (IPL 2023) শুরুটা দুঃস্বপ্নকেও হার মানাবে। শুক্রবার তাদের দ্বিতীয় ম্যাচে সানরাইজার্সকে লখনউ সুপার জায়ান্টসের (LSG) কাছে ৫ উইকেটে পরাজয়ের মুখে পড়তে হয়েছিল। টানা দুই ম্যাচ হারের পর টিম ম্যানেজমেন্টের কিছু সিদ্ধান্ত নিয়েও প্রশ্ন উঠছে। দুই ম্যাচেই ব্যাট হাতে বিশেষ কিছু করে দেখাতে পারেননি দলের ব্যাটাররা। আজ লখনউ চেন্নাই সুপার কিংস এর কাছে হারের ধাক্কা ভুলিয়ে দুর্দান্তভাবে ঘুরে দাঁড়ালো সানরাইজার্সের বিরুদ্ধে।
সানরাইজার্স হায়দরাবাদের সিইও কাব্য মারানকে লখনউয়ের বিপক্ষে ম্যাচের সময় বেশ হতাশ দেখাচ্ছিল। কাব্য মারানের হতাশ মুখের ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় হায়দরাবাদের হারের পর থেকেই ভাইরাল হচ্ছে। কাব্য মারানকে অনেকেই ডেভিড ওয়ার্নার ও উইলিয়ামসনদের মতো গুরুত্বপূর্ণ তারকাকে দল থেকে পরপর দুই বছরে ছেঁটে ফেলার জন্য দোষ দিচ্ছে। আইপিএল ২০২১-এর প্রথম পর্বে দলের খারাপ পারফরম্যান্সের পরে ওয়ার্নারকে অধিনায়কত্ব থেকে ছেঁটে ফেলা হয়েছিল।
এরপর কেন উইলিয়ামসনকে ওই মরশুমে দলের অধিনায়ক নির্বাচিত করে হায়দরাবাদ ম্যানেজমেন্ট। সেই সময় খবর ছিল যে টম মুডি এবং ডেভিড ওয়ার্নার একেবারেই নিজেদের পছন্দ করছেন না। তবে, উইলিয়ামসনও অধিনায়কত্বে এসে কোনও বড় পরিবর্তন করতে পারেননি এবং সানরাইজার্স হায়দরাবাদ তাকেও নতুন মরশুম শুরুর আগে ছেঁটে ফেলে দল থেকে।
ওয়ার্নার ২০২১ ছাড়া সানরাইজার্সের হয়ে প্রতি মরশুমে ৫০০-এর বেশি রান করেছেন। তারপরও সানরাইজার্স তাকে ছেড়ে দিয়েছিল। এর পরে ক্লিন উইলিয়ামসনের মতো তারকা ক্রিকেটার কেউ ধারাবাহিকতার অভাবের অজুহাতে দেখিয়ে ছেঁটে ফেলেছিল সানরাইজার্স। দুজনের অবস্থা এই অবশ্য চলতে আইপিএলে খুব একটা ভালো নয়। পন্থের অনুপস্থিতিতে এখন দিল্লির অধিনায়ক ওয়ার্নার কিন্তু তিনি ব্যাট হাতে কিছু রান পেলেও তাকে নিজের পরিচিত আগ্রাসী মেজাজে দেখা যায়নি। ফলে দুটি ম্যাচ হারতে হয়েছে দিল্লি ক্যাপিটালকে। অপরদিকে উইলিয়ামসন নিজের নতুন দল গুজরাট টাইটান্সের হয়ে ব্যাট হাতে নামারই সুযোগ পাননি। তার আগেই ফিল্ডিং করতে গিয়ে মারাত্মক চোট পেয়েছেন তিনি এবং আইপিএলের পাশাপাশি হয়তো ওডিআই বিশ্বকাপও মিস করতে পারেন এই তারকা নিউজিল্যান্ড ক্রিকেটার।
নিজেদের প্রথম ম্যাচে ঘরের মাঠে বড় ব্যবধানে রাজস্থান রয়্যালসের বিরুদ্ধে হারের মুখ দেখতে হয়েছিল সানরাইজার্সকে। এরপর আজ অ্যাওয়ে ম্যাচে লখনউ সুপারজায়ান্টসের বিরুদ্ধে আব্দুল সামাদ বাদে তাদের বাকি ব্যাটাররা সম্পূর্ণ ব্যর্থ। ২০ ওভারে (২১) মাত্র ১২১ রান স্কোরবোর্ডে তুলতে পেরেছিল তারা। ক্রুনাল পান্ডিয়ার (৩৪, ৩/১৮) অলরাউন্ড পারফরম্যান্সে ভর করে নিজেদের তৃতীয় ম্যাচে দ্বিতীয় জয় তুলে নিয়েছে লোকেশ রাহুলরা। আদিল রশিদ মাঝের ওভারে ২ উইকেট নিলেও সেটা লখনউকে আটকানোর জন্য যথেষ্ট ছিল না। চার ওভার বাকি থাকতেই ৫ উইকেটে জয় পায় তারা।