দর্শকদের আক্রমণের বদলা মাঠেই নিলো লখনৌ! SRH-কে উড়িয়ে দিয়ে জয় পেলো গম্ভীরের দল

বাংলা হান্ট নিউজ ডেস্কঃ প্রথম ইনিংস চলাকালীন নাট বল্টু ছুঁড়ে মারা হয়েছিল লখনৌ সুপারজায়ান্টসের (LSG) ডাগ আউটে। সানরাইজার্স হায়দারাবাদ (SRH) ভক্তদের এই কাজের জন্য ম্যাচ কিছু মিনিট বন্ধ রাখতে বাধ্য হয়েছিলেন আম্পায়াররা। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ওই ঘটনাই হয়তো তাদের দলের কাল হয়ে দাঁড়ালো। সানরাইজার্সের দেওয়া ১৮৩ রানের লক্ষ্য চার বল বাকি থাকতেই মাত্র ৩ উইকেট খুঁইয়ে তুলে নিলো গৌতম গম্ভীরের দল।

আজ হয়তো লখনৌয়ের সামনে আরও বড় টার্গেট রাখতে পারতো সানরাইজার্স। ১৮২ রানেই যে শেষপর্যন্ত লখনৌ সানরাইজার্সকে আটকাতে পেরেছে তার মূল কারণ হলো দুটো। প্রথমত ১৩ তম ওভারের প্রথম দুই বলে ক্রুনাল পান্ডিয়া পরপর ড্রেসিংরুমে ফেরান সানরাইজার্স অধিনায়ক এইডেন মার্করম (২৮) ও মিডল অর্ডার তারকা গ্লেন ফিলিপসকে। ওখানে সানরাইজার্সের রান তোলার গতিতে কিছুটা বিঘ্ন ঘটে।

এরপর ম্যাচের ১৯ তম ওভারে যখন ভয়ংকর হয়ে উঠেছেন হেনরিক ক্লাসেন, তখন থার্ড আম্পায়ার বিতর্কিতভাবে একটি নো বলের সিদ্ধান্ত নাকচ করে। সেই সময়ে দর্শকরা ঝামেলা করায় খেলা কিছুক্ষণের জন্য বন্ধ থাকে এবং তাতে ক্লাসেনের মনঃসংযোগে ব্যাঘাত ঘটে। ফলে সেই ওভারেই আউট হন তিনি। তিনি শেষ ওভার অবধি ক্রিজে থাকলে হয়তো আরও ১০-১৫ রান বেশি তুলতে পারত হায়দরাবাদ। তিনি সানরাইজার্সের হয়ে সর্বোচ্চ ৪৭ রান করেন। ৩৭ রানের একটা গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস খেলেন আব্দুল সামাদও। ৪ ওভারে মাত্র ২৪ রান দিয়ে ২ টি উইকেট নেন অধিনায়ক ক্রুনাল।

এরপর রান তারা করছে নেমে বেশ কিছু বল নষ্ট করে আউট হন এই আইপিএলে লখনৌয়ের জার্সিতে দুর্দান্ত ছন্দে থাকা কাইল মেয়ার্স। ধীরগতিতে রান তুলছিল তারা। এরমধ্যে কুইন্টন ডি কক (২৯) আউট হয় চাপ বেড়েছিল তাদের ওপর। দায়িত্বশীল ইনিংস খেলে দলকে ধীরগতিতে হলেও এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন প্রেয়ক মানকড়।

একটা সময় দেখা যায় যে ৫০ বলে ১১০ রান বাকি রয়েছে লখনৌয়ের। কিন্তু তারা মাত্র দুই উইকেট খুঁইয়েছিল। তাই মনে ভরসা নিয়ে আক্রমণের ঝড় তোলেন অজি অলরাউন্ডার মার্কাস স্টোইনিস। ৪০ রান করে অভিষেক শর্মার ওভারে পরপর দুটি ছক্কা মেরে ড্রেসিংরুমে ফেরেন তিনি। কিন্তু এরপর ক্যারিবিয়ান তারকা নিকোলাস পুরান ক্রিজে আসেন এবং সেই ওভারের বাকি বলগুলিকে মাঠের সীমানা পার করে গ্যালারিতে ফেলে দেন। অভিষেক শর্মার ওই ওভারে ৩১ রানে উঠতেই ম্যাচের মোড় ঘুরে যায়। ৪৫ বলে ৬৪ রানের একটি দৃষ্টিনন্দন ইনিংস খেলে অপরাজিত থাকেন মানকড়। ১৩ বলে ৪৪ রানের একটি ঝোড়ো ইনিংস খেলে সময় প্রায় হাতের বাইরে চলে যাওয়া ম্যাচ দলকে জিতিয়ে দেন পুরান।

 


Reetabrata Deb

সম্পর্কিত খবর