বাংলা হান্ট ডেস্ক : রাহুল গান্ধীর (Rahul Gandhi) নেতৃত্বে অনুষ্ঠিত ভারত জোড়ো যাত্রা (Bharat Jodo Yatra) পৌঁছে গেছে শেষ লগ্নে। আগামীকাল সোমবার ৩০ জানুয়ারি কাশ্মীরে শেষ হচ্ছে এই যাত্রা। এই শেষ দিন বিজেপি (BJP) বিরোধী শক্তির ঐক্যবদ্ধ হওয়ার মঞ্চ হিসাবে তৈরি করতে চায় কংগ্রেস। সেই উদ্দেশ্যেই ২১টি রাজনৈতিক দলকে আমন্ত্রণ পাঠানো হয়। কিন্তু বাস্তবে দেখা যাচ্ছে কার্যত ব্যর্থ হতে চলেছে কংগ্রেসের এই পরিকল্পনা।
সূত্র মারফত খবর, আগামীকাল ৩০ জানুয়ারি ভারত জোড়ো যাত্রার শেষ দিনের অনুষ্ঠানে যোগ দিচ্ছে না ৯টি দল। যোগ দিচ্ছে না বাংলার শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। এমনকি এই যোগ না দেওয়া এই ৯ দলের তালিকায় রয়েছে নীতিশ কুমারের আরজেডি এবং অখিলেশ যাদবের সমাজবাদী পার্টিও। বাকি ১২ টি দলের এখনও পর্যন্ত যোগ দেওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। জানা যাচ্ছে, ভারত জোড়ো যাত্রার শেষ দিন ৩০ জানুয়ারি কাশ্মীর উপত্যকার শ্রীনগরে উপস্থিত থাকতে কংগ্রেস দেশের ২১টি রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতাদের আমন্ত্রণ জানায়। বুধবার সন্ধ্যায় এই দলগুলোর সভাপতিদের চিঠি লিখে আমন্ত্রণ জানান কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে। ভারত জোড়ো যাত্রার অন্যতম প্রধান সংগঠক ও কংগ্রেস মুখপাত্র জয়রাম রমেশও এক টুইটে এই খবর জানান।
কংগ্রেস সভাপতি লিখেন, ‘এই যাত্রায় অংশ নিতে শুরু থেকেই কংগ্রেস সব সমভাবাপন্ন দল, গোষ্ঠী, সংগঠন ও ব্যক্তিদের আমন্ত্রণ জানিয়েছে। অনেকেই যাত্রায় যোগ দিয়েছেন। এবার আমি আপনাদের বিশেষভাবে অনুরোধ করছি, ৩০ জানুয়ারি যাত্রার শেষ দিন শ্রীনগরে উপস্থিত থাকতে। ওই দিন জাতির জনক মহাত্মা গান্ধী প্রাণ দিয়েছিলেন। সারা জীবন তিনি ঘৃণা ও হিংসার বিরুদ্ধে আদর্শগত লড়াই চালিয়ে গেছেন। যাত্রার শেষ দিনের অনুষ্ঠান তাঁর প্রতি সমর্পিত। ওই দিন আমরা সবাই ঘৃণা ও হিংসার বিরুদ্ধে ও সত্য প্রতিষ্ঠার জন্য নিজেদের অঙ্গীকারবদ্ধ করব। সংবিধান ও সাংবিধানিক মূল্যবোধ রক্ষায় নিজেদের নিবেদিত করব। সাম্য ও সৌভ্রাতৃত্ববোধ প্রতিষ্ঠায় দৃঢ়প্রতিজ্ঞ হব।
গতকাল শনিবার শ্রীনগরে ভারত জোড়ো যাত্রার সমাপ্তি অনুষ্ঠানের প্রাক্কালে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশ বলেন, ‘কে যোগ দিল, কে যোগ দিল না, সেটা কংগ্রেসের ব্যর্থতা নয়। তাদের অন্য বাধ্যবাধকতা থাকতে পারে।’ এরই সঙ্গে জয়রামের মন্তব্য, ‘জাতীয় কংগ্রেসকে বাদ দিয়ে বিজেপি-বিরোধী জোট গঠন সম্ভব নয়। কংগ্রেসই হলো বিরোধী জোটের কেন্দ্রবিন্দু।’ তৃণমূল প্রথম থেকেই কংগ্রেসের এই অবস্থানের তীব্র বিরোধিতা করে আসছে।