বাংলাহান্ট ডেস্ক : উত্তরবঙ্গ সফরে রয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রবিবার দুপুরে শিলিগুড়ির উত্তরা ময়দানের একটি অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে দেখা যায় তাঁকে। সেখানেই বগটুই গণহত্যা কাণ্ডে সুর চড়ালেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর দাবি পুরো ঘটনাটির পিছনেই গভীর চক্রান্ত রয়েছে।
এদিন এই অনুষ্ঠানের মঞ্চ থেকে তিনি বলেন,’আবারও বলছি রামপুরহাটের ঘটনায় গভীর ষড়যন্ত্র রয়েছে। পুলিশের প্রথম ভুল হয়েছিল। কিন্তু, যাঁরা মারা গিয়েছেন তাঁরাও তৃণমূল কংগ্রেসের সদস্য ছিলেন। যাঁদের বাড়িতে আগুন লেগেছে তাঁরাও তৃণমূল কংগ্রেসের সদস্য।’ তাঁর এহেন ষড়যন্ত্র তত্ত্বের অবশ্য ব্যাখ্যাও দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
তাঁর দাবি দেউচা পাচামি প্রকল্প আটকানোর জন্যই এই ষড়যন্ত্র করা হয়েছে। এদিন মুখ্যমন্ত্রী এই প্রসঙ্গে বলেন, ‘দেউচা পাঁচামি আটকাতে বগটুইয়ে ষড়যন্ত্র হয়েছে। পুলিশকে দায়ী করা হচ্ছে। দেউচা পাঁচামি হলে বহু কর্মসংস্থান হবে। বাংলার আমূল পরিবর্তন হবে। তখন মানুষ কাজ নিয়ে ব্যস্ত থাকবেন। কারও কথায় কান দেবেন না। তাই বিরোধীরা খুন করে নজর ঘোরাচ্ছেন। দু’একটা দুষ্টু গরু সব জায়গায় থাকে। কিন্তু আমি মাফ করব না। এমন ঘটনা আমি কখনও মাফ করব না।’
তিনি এদিন শিলিগুড়ির মঞ্চ থেকে আরও বলেন, ‘যারা মারা গেল তারাও আমাদের লোক, যাদের বাড়িতে আগুন লাগল তারাও আমাদের লোক। তার মানে হাত পা মাথা সবই আমাদেরই কাটা গেল। আমারই হাত পা কেটেছে আর আমাকেই গালাগালি করছে। পুলিশের ভুল ছিল। খুনের পর এটা বোঝা উচিত ছিল যে বড় কিছু হতে পারে।’
বাংলার অপরাধ রুখতে এদিন এক অভিনব পন্থার কথাও ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। গোলমালের খবর আগাম পুলিশকে দিতে পারলেই রাজ্যবাসীকে পুরষ্কৃত করা হবে, এমনটা ঘোষণা করেছেন তিনি। এদিন তিনি বলেন, ‘কেউ যদি কোথাও কোনও গোলমাল হতে পারে বলে খবর পান তাহলে পুলিশকে জানান। আগাম খবর দিলে পুরস্কার পাবেন। এখন সবার হাতে স্মার্টফোন। ছবি তুলে রাখুন। তার পর হোয়াটসঅ্যাপে আমাকে পাঠান। দিদিকে বলো কর্মসূচির মতো একটি কর্মসূচি আনতে চলেছে রাজ্য সরকার। যাতে যে কেউ ফোন করে সরাসরি খবর দিতে পারেন বা নিজের অভিযোগ জানাতে পারেন।’
এই খবর দেওয়ার পরও পুলিশ ব্যবস্থা না নিলে পুলিশের বিরুদ্ধেই কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও সাফ জানিয়েছেন তিনি।