বাংলাহান্ট ডেস্ক : মুখ্যমন্ত্রী-রাজ্যপালের ট্যুইটার যুদ্ধে নতুন বিতর্কের সংযোজন হয়েছে সোমবার। রাজ্যপালকে ট্যুইটারে ব্লক করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড় ‘অত্যন্ত ডিসটার্ব করেন’ এই অভিযোগ এনে রীতিমতো সাংবাদিক সম্মেলন করেই মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেছেন এই ব্লক করার কথা। তারপর থেকেই তুমুল শোরগোল রাজ্য জুড়ে। স্যোশাল মিডিয়া ছেয়ে গেছে এই সংক্রান্ত মিমেও।এবার এই ইস্যুতে মুখ খুললেন মদন মিত্রও। সব তৃণমূল কর্মীদেরও রাজ্যপালকে ব্লক করার নির্দেশ দিলেন কামারহাটির বিধায়ক। একই সঙ্গে রাজ্যপালকে বিঁধলেন ‘সাদা হাতি’ বলেও।
সোমবার হুগলির আরামবাগের কৃষ্ণবাটির আদিবাসী কৃষ্টি ও সংস্কৃতি মেলায় যোগ দেন মদন মিত্র (Madan Mitra)। সেখানেই তাঁকে বলতে শোনা যায়, ‘একটু আগেই জানলাম রাজ্যপালকে ব্লক করেছেন মমতা (Mamata Banerjee)। যা রাজনীতির ইতিহাসে আগে কখনও হয়নি, তাই ই করে দেখিয়েছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। তাই আপনাদেরও বলছি, আপনারাও রাজ্যপালকে ট্যুইটারে ব্লক করুন।’ এরই সঙ্গে রাজ্যপালের অপসারণের দাবিও তোলেন তৃণমূলের কালারফুল বয়। তিনি বলেন, ‘ অবিলম্বে সাদা হাতি পোষা বন্ধ হোক। ওই টাকায় রাজ্যের লক্ষ লক্ষ বেকার ছেলেমেয়ের চাকরি হতে পারে।’
সোমবার রীতিমতো সাংবাদিক সম্মেলন করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়কে ব্লক করেছেন তিনি। এর কারণ হিসেবে মমতা বলেন,’ সারাক্ষণ বিরক্ত করেন রাজ্যপাল। কাজে বাধা দেন। একাধিক ফাইল আটকে রাখেন ইচ্ছাকরেই। মা ক্যাণ্টিনে আমরা মানুষকে কীভাবে ডিম ভাত খাওয়াচ্ছি তার হিসেব অবধি ওঁর চাই, অথচ রাজভবনে রোজ তাজ বেঙ্গল থেকে খাবার আসে।’
এর পালটা জবাব দিয়েছেন রাজ্যপালও। তিনি একটি ট্যুইট করে সংবিধানের পাঠ দিতে চেয়েছেন রাজ্যকে। সেই ট্যুইটে তিনি লেখেন সংবিধানের অনুচ্ছেদ ১৫৯ এ বলা আছে, সাংবিধানিক নিয়ম নীতি এবং আইনের শাসনকে কেউ ব্লক করতে পারেন না। দায়িত্বপ্রাপ্তদের উচিত সংবিধানের প্রতি আস্থা রাখা।
এই ব্লক কাণ্ডের জেরেই আপাতত তোলপাড় বাংলার রাজ্য রাজনীতি। এহেন অভূতপূর্ব ঘটনায় তীব্র নিন্দা করেছেন বিরোধীরা। পশ্চিমবঙ্গে আইনশৃঙ্খলা এবং সংবিধান বহুদিন ধরেই ‘ব্লকড’ এমনটাই কটাক্ষ বিরোধী শিবিরের।