বাংলাহান্ট ডেস্কঃ শুক্রবার আচমকাই রাজ্যসভায় তৃণমূল এবং সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার ইস্যুতে দীনেশ ত্রিবেদীকে (dinesh trivedi) আক্রমণ করলেন মদন মিত্র (madan mitra)। দীনেশ ত্রিবেদীকে ‘বিশ্বাসঘাতক’ তকমা দিয়ে কটাক্ষ করলেন প্রাক্তন পরিবহণমন্ত্রী মদন মিত্র।
একুশের নির্বাচনের আগেই বড়সড় ভাঙ্গন ধরেছে তৃণমূলের অন্দরে। শুভেন্দু অধিকারী, রাজীব ব্যানার্জির পর এবার দীনেশ ত্রিবেদীর গলাতেও শোনা গেল দল বিরোধী বিক্ষোভের সুর। তৃণমূলের হেভিওয়েট সমস্ত নেতৃত্বরা ঘাসফুলের ছত্রছায়া ছেড়ে গিয়ে নাম লেখাচ্ছে বিজেপি শিবিরে। এবার দীনেশ ত্রিবেদীর ইস্তফা দেওয়া নিয়েও জল্পনা তুঙ্গে।
শুক্রবার রাজ্যসভায় সভার কাজ চলাকালীন আচমকাই কিছুটা নাটকীয় ভঙ্গিতে তৃণমূল ছাড়ার এবং সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার ঘোষণা করেন এই বর্ষীয়ান নেতা দীনেশ ত্রিবেদী। রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘রবীন্দ্রনাথ, নেতাজির ভূমির মানুষ হয়েও রাজ্যের সর্বত্র ঘটে চলা হিংসাত্মক ঘটনার প্রতিবাদ করতে পারছি না। দলের শৃঙ্খলা মেনে চলতে গিয়ে আমার দম বন্ধ হয়ে আসছে। তাই আমার অন্তরের ডাক শুনে, ইস্তফা দিয়ে বাংলার জন্য কাজ করব’।
আচমকাই দীনেশ ত্রিবেদীর এভাবে দল ছাড়ার প্রসঙ্গে দলের অন্দরে তীব্র সমালোচনা শুরু হয়ে তাঁকে নিয়ে। তবে দীনেশ ত্রিবেদী এটা পরিস্কার করেই বলে দিয়েছেন- তিনি তৃণমূল ছাড়লেও, রাজনীতি কিন্তু ছাড়ছেন না। তাই আবার তাঁর বিজেপিতে যোগ দেওয়ার জল্পনাও জোরালো হয়ে উঠছে।
এই বর্ষীয়ান নেতাকে আক্রমণ করতে ছাড়লেন না প্রাক্তন পরিবহণমন্ত্রী মদন মিত্রও। দীনেশ ত্রিবেদীকে ‘বিশ্বাসঘাতক’ বলে কটাক্ষ করে মদন মিত্র বলেন, ‘লোকসভা নির্বাচনে হারের পরও দীনেশ ত্রিবেদীকে দলের সাংসদ হিসাবে রাজ্যসভায় বসিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। ওনাকে শুধু নোবেল প্রাইজ দিতে বাকি রেখেছিলেন মমতা ব্যানার্জি’।