বাংলা হান্ট ডেস্কঃ তৃণমূল নেতাদের মধ্যে যদি সবচেয়ে বেশি করে সংবাদমাধ্যমের প্রচারে থাকা দুই ব্যক্তির নাম করতে হয়, তবে প্রথমেই আসে অনুব্রত মণ্ডল এবং মদন মিত্রের নাম। তৃণমূলের এই দুই প্রভাবশালী নেতা সর্বদাই থাকেন শিরোনামে। আর এবার অনুব্রত মণ্ডলের পাশে দাঁড়িয়ে সংবাদমাধ্যমকে একহাত নিলেন মদন মিত্র।
সম্প্রতি কলকাতার সিবিআই দপ্তর থেকে গরুপাচার মামলায় ডাক পাঠানো হয় অনুব্রত মণ্ডলকে। যদিও তৃণমূল সরকার সিবিআই জেরার পেছনে বিজেপির রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থর কারণটি বারবার দেখিয়ে এসেছে। এদিন সকালে যখন অনুব্রত মণ্ডলের গাড়ি রওনা দেয়, তখন সবাই ভাবে তিনি হয়তো সিবিআই দপ্তরে চলেছেন। কিন্তু হঠাৎ সবাইকে অবাক করে দিয়ে অনুব্রত মণ্ডল পৌঁছে যান এসএসকেএম হাসপাতালে। পরবর্তীকালে জানা যায়, শারীরিক অসুস্থতা নিয়ে তিনি এসএসকেএমে ভর্তি হয়েছেন। এরপর বিরোধীরা তাঁর অসুস্থতা নিয়ে কটাক্ষ ছুঁড়ে দেয়।
এদিন সংবাদমাধ্যমের পক্ষ থেকে মদন মিত্রের কাছে এই প্রসঙ্গের ব্যাপারে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন যে, “আমার যা হয়েছিল, তা যদি আপনার বা আপনার বাড়ির কারও হত, তাহলে নন্দলাল হয়ে বাড়িতে বসে থাকত। মদন মিত্র বলে বাজারে আছি।” তাঁর কথায়, “কেউ যদি অসুস্থ হয় তাহলে কিছু করার নেই। আপনাদের খুশি করার জন্য বলতে হবে, হাজিরা এড়ানোর জন্য অসুস্থ হয়েছি। এত কাপুরুষ আমরা নই।”
প্রসঙ্গত SSKM-এ ভর্তি হওয়ার ব্যাপারে সবচেয়ে উপরের তালিকায় নাম থাকে মদন মিত্রর। যখনই সিবিআই জেরার জন্য ডাক পাঠায়, তখনই শারীরিক অসুস্থতার জন্য তিনি ভর্তি হন এসএসকেএমে। এই প্রসঙ্গে জিজ্ঞাসা করায় তিনি বলেন যে, “জেরা এড়ানোর কোন প্রশ্ন নেই। আমি হই কিংবা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে অনেক তৃণমূল নেতারা হোক, সকলে একাধিক সময় সিবিআই দফতরে হাজিরা দিয়েছে এবং তদন্তে সবরকম সাহায্য করেছে।” এরপর তাঁর মুখে শোনা যায় জনপ্রিয় সংলাপ, “উই ডোন্ট কেয়ার।”