বাংলা হান্ট ডেস্ক : রঙের উৎসবেই বেরঙিন মদন মিত্র (Madan Mitra)। ‘৩০ হাজার’ যুবক-যুবতির সঙ্গে রঙ মাখতে গিয়ে বিপদ ঘটালেন তৃণমূল নেতা (TMC Leader)। আহত হয়ে যেতে হল হাসপাতালে। নিজের অ্যাকাউন্ট থেকে ফেসবুক লাইভে এসে এই খবর নিজেই দিলেন কামারহাটির বিধায়ক। তবে কাউকেই দোষারোপ করেন নি তিনি। বরং নিছকই দুর্ঘটনা বলে এড়িয়ে গেছেন তিনি।
এদিনের ফেসবুক লাইভে মদনকে দেখা যায় অন্য রূপে। রোজকার মতো রোদচশমায় চোখ ঢাকলেও এদিন তার নিচে তাঁর ডান চোখ ঢাকা ছিল গজ ও তুলোতে। ওই অবস্থাতেও কলকাতা মেডিকেল কলেজের সুপারের ভূয়সী প্রশংসা করেন তিনি। কামারহাটির বিধায়ক বলেন, ‘এখন রাত ১২:০০ টা বাজে। আমি এই মাত্র মেডিকেল কলেজ থেকে বেরিয়ে আসছি। এখনও পর্যন্ত মেডিকেল কলেজের অফিসে বসে রয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সুপার। মমতা মেডিকেল কলেজের জন্য যা করে গেছে তারপর আগামী ২৫ বছরের কিছু করতে হবে না।’
নিজের চিকিৎসা নিয়ে মদন মিত্র বলেন, ‘আমি চাইলে যে কোনও বেসরকারি নার্সিংহোমে যেতেই পারতাম। কিন্তু না, মানুষ যেভাবে চিকিৎসা করায় আমিও সেভাবেই করাতে চেয়েছি। কিছু দিন আগেই আমার স্ত্রীর অপারেশন হয়েছে পিজি হাসপাতালে। আমি সাধারণ মানুষের মধ্যেই থাকতে চাই।’
এরপরই কামারহাটির বিধায়ক নিশানা করেন শুভেন্দু অধিকারীকে। তিনি বলেন, ‘ডিএ নিয়ে যে আন্দোলন চলছে সেটা অনৈতিক। শুভেন্দু গিয়ে তাঁদের সমর্থন করছেন। ওর তো অনেক টাকা। ও দিক না কেন্দ্রীয় হারে ডিএ। ওর বাড়িতে তো কোটি কোটি টাকা লুকোনো রয়েছে। তার আগে ওর যে ফোরফাদার গ্র্যান্ড ফাদার আমাদের পাওয়া টাকা দিক। টাকা পেলে আমরা নিশ্চয়ই দেবো।’
সাগরদিঘী নিয়েও বিস্ফোরক হলেন মদন মিত্র। তোপ দাগলেন শুভেন্দু অধিকারীকে। এদিন বাংলার কালারফুল বয় বলেন, ‘শুভেন্দু বলছে এই জোটটাই থাকুক। তাহলে তোরা স্বীকার করলি যে সিপিএম কংগ্রেস এবং বিজেপি মিলে একসঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধয়ায়ের পিছনে লাগছিস। তোদের আর কোনও কাজ নেই। তোর ক্ষমতা থাকলে আর একটা বিধানসভা জিতে দেখিয়ে দে। তোর সাহস থাকলে আর একটা বিধানসভায় এসে দেখা।’