বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বঙ্গের দরজায় কড়া নাড়ছে পঞ্চায়েত নির্বাচন। ভোটকে পাখির চোখ করে সভা, জনসভায় মেতে উঠেছে সমস্ত রাজনৈতিক দল। জোর কদমে চলছে জয়ের প্রস্তুতি। রবিবার নন্দীগ্রাম (Nandigram) বাজারের জানকীনাথ মন্দিরের সামনে কেন্দ্রীয় বঞ্চনার বিরুদ্ধে তৃণমূল তরফে এক প্রতিবাদ সভার আয়োজন করা হয়েছিল। উপস্থিত ছিলেন কামারহাটির বিধায়ক মদন মিত্র (Madan Mitra)। আর সেখানে দাঁড়িয়েই কার্যত চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে (Suvendu Adhikari)।
ঠিক কী বললেন মদন? কটাক্ষের সুরে এদিন কালারফুল বয় বলেন, ‘আমি নন্দীগ্রাম থেকে মাটি নিয়ে যাব। আমি কন্টেনার আনতে পাঠিয়েছি। কারণ এর আগে পশ্চিমবঙ্গে একমাত্র মুর্শিদাবাদ ছিল, যেখানে কয়েকজনের বেইমানের জন্যই ভারতবর্ষ ২০০ বছর পরাধীন ছিল।’
শুধু তাই নয়, এদিন মদন একের এক পর চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দেন নন্দীগ্রামের বিধায়ককে। বলেন, ‘কবে লড়তে চান, কোথায় লড়তে চান, দিন আর সময়টা বলুন। দল যদি আমাকে দায়িত্ব দেয় তাহলে আমি দাঁড়িয়ে থেকে লড়াই দেব।’ নারদা-কাণ্ডে নাম জড়ানো সত্ত্বেও এখনও কেন শুভেন্দুর বাড়িতে কেন চিঠি গেল না, সে প্রশ্নও তুলেছেন মদন। এরপরেই মদন বলেন, তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহার মোবাইলে যে সকল দুর্নীতিবাজদের নাম ছিল তার প্রথম সারিতেই ছিল শুভেন্দুর নাম।
এদিন নন্দীগ্রামে দাঁড়িয়ে ডিএ আন্দোলন নিয়েও মন্তব্য করেন মদন মিত্র। তার কথায়, “আমরা সিপিএমের আমলে বহু আন্দোলন নিয়ে বিচার চেয়েছি। কখনও রাইটার্স থেকে ডাক পাইনি। কিন্তু আন্দোলনকারীদের নবান্ন ডেকেছে। কেন্দ্রে কত টাকা ডিএ বাকি আছে তার হিসেব আগে দিতে হবে।” কালিয়াগঞ্জ ঘটনা নিয়েও দুঃখ প্রকাশ করেন তিনি।
প্রসঙ্গত, একই দিনে নন্দীগ্রামের বয়ালে একটি অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তবে মদন মিত্রের কথা বা চ্যালেঞ্জ কোনোটাকেই গুরুত্বই দিতে চাইলেন না শুভেন্দু। মদনের মন্তব্য প্রসঙ্গে একটা ছোট্ট কথায় প্রতিক্রিয়া দিয়ে নন্দীগ্রামের বিধায়ক বলেন, “যেখানে মুখ্যন্ত্রীই গদিচ্যুত হতে পারেন, তাই মদন নিয়ে আলাদা করে কিছু বলতে চাই না।”