যাকে ভর্তির জন্য SSKM-র সঙ্গে যুদ্ধ করেছিলেন মদন, মৃত্যু সেই তরুণের! ভারাক্রান্ত বিধায়ক

বাংলা হান্ট ডেস্ক : এত চেষৃটা করেও হল না শেষ রক্ষা। দুর্ঘটনার কবলে পড়েছিলেন ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজের ল্যাব টেকনিশিয়ান ২৪ বছরের শুভদীপ পাল (Madan Mitra Patient)। তাঁকেই এসএসকেএমে ভর্তির বিষয়ে ব্যবস্থা করতে গিয়ে ঝামেলায় জড়িয়েছিলেন মদন মিত্র (Madan Mitra Clash for a Patient Admission)। তারপর অবশ্য সেই শুভদীপকে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি করা হয় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) নির্দেশে। কিন্তু সমস্ত প্রচেষ্টাই বিফলে গেল। মঙ্গলবার দুপুরে মৃত্যু হল শুভদীপের (Died in Medical College)।

হাসপাতাল সূত্রে খবর, বেলা ১২টা নাগাদ মৃত্যু হয় শুভদীপের। কার্ডিও রেসপিরেটরি ফেলিওরের কারণে মৃত্যু হয়েছে তাঁর। ফুসফুস, চোখ, পা, বুকের পাঁজর—শরীরের একাধিক জায়গায় গুরুতর আঘাত ছিল বছর ২৪-এর এই তরুণের (Subhadip Pal)।

madan

শুক্রবার রাতে দুর্ঘটনার কবলে পড়েছিলেন শুভদীপ। শনিবার রাতে তাঁকে এসএসকেএমের ট্রমা কেয়ার সেন্টারের সামনে অ্যাম্বুলেন্সে ৬ ঘণ্টা ফেলে রাখার অভিযোগ ওঠে। তারপর মদন মিত্র সেখানে পৌঁছলে তুলকালাম কাণ্ড বাঁধে এসএসকেএমের উঠোনে। এক মরণাপন্ন রোগীর চিকিৎসা নিয়ে শুরু হয় রাজনৈতিক টানাপোড়েন। অন্তর্দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পড়ে রাজ্যের শাসক দল।

আজ শুভদীপের মৃত্যুর খবর পেয়ে মদন মিত্র হাসপাতালে যাচ্ছেন। তিনি বলেন, ‘খুবই দুঃখজনক ও দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা। আমি ওঁর আত্মার শান্তি কামনা করি।’ তিনি আশা করেছিলেন, এ বার নিশ্চয়ই সুস্থ হয়ে উঠবে। চেষ্টা ব্যর্থ হবে না, কিন্তু হল না। চিকিৎসকদের সব চেষ্টা সত্ত্বেও বাঁচানো যায়নি শুভদীপকে। মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১১টায় মৃত্যু হয় তাঁর।

এই মুহুর্তে কলকাতার বাইরে থাকা মদন সেই খবর শুনে বলেন, ‘আমি তো কিছুই জানতে পারিনি। খুব খারাপ লাগছে শুনে।’ প্রথমেই এসএসকেএম ভর্তি নিয়ে নিলে কি চিকিৎসার সুবিধা হত বলে মনে হয়? এবার সাবধানী মদন বলেন, ‘এ সব নিয়ে আমি আর কিছুই বলতে চাই না। খালি বলব, এই মৃত্যু বড়ই দুঃখজনক।’


Sudipto

সম্পর্কিত খবর