বাংলাহান্ট ডেস্ক: বিগত দুদিন ধরে মদন এবং কল্যাণ ইস্যুতে কার্যতই অস্বস্তিতে ছিল রাজ্যের ঘাসফুল শিবির। কিন্তু এবার ফেসবুক লাইভে এসে সেই ‘চ্যাপ্টার ক্লোস’ করলেন মদন নিজেই। পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে সমস্ত সমস্যার মিটমাট হয়ে গেছে বলেও জানালেন তিনি। শুধু তাইই নয় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে মহাত্মা গান্ধী এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে নেতাজি সুভাষ বোসের সঙ্গেও তুলনা করতে শোনা গেল তাঁকে।
গত কয়েকদিন ধরেই শৃঙ্খলা রক্ষা নিয়ে সরগরম রাজ্য তৃণমূলের অন্দরমহল। দলীয় শৃঙ্খলা রক্ষা কমিটির চেয়ারম্যান পার্থ চট্টোপাধ্যায় নেতা কর্মীদের সতর্ক করে জানিয়েছিলেন কোনো সমস্যা হলে জানাতে হবে দলকেই। তা নিয়ে বাইরে জল ঘোলা করা যাবে না। এই হুঁশিয়ারিকে থোড়াই কেয়ার করে ফেসবুক লাইভে সরব হন মদন। সেখানে তিনি পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে উদ্দেশ্য করে প্রশ্ন ছোঁড়েন, মুখ্যমন্ত্রীর নিরাপত্তার জন্য হরিশ চ্যাটার্জি স্ট্রীটের অফিসে যাওয়া যায় না। অভিষেককেও পাওয়া যায় না অফিসে। তাহলে সমস্যার কথা কাকে জানাবেন তিনি? তিনি এও বলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের যদি বলেন তবে তাঁর বাড়ির নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা পুলিশ কনস্টেবলকে গিয়েই অসুবিধার কথা জানিয়ে আসবেন মদন।
তাঁর এহেন মন্তব্য কার্যতই ঘৃতাহুতি করে দল ভাঙনের জল্পনায়। তবে আজ আবারও ফেসবুক লাইভে এসে নিজস্ব স্টাইলের ‘চ্যাপ্টার ক্লোস’ করলেন মদন। এদিন লাইভে এসে তিনি জানান, ‘পার্থ চট্টোপাধ্যায় ফোন করেছিলেন। সবকিছু মিটমাট হয়ে গেছে। পার্থ আমার বন্ধু। তাই মনান্তর হলেও মতান্তর কখনওই হবে না।’ এরপর থেকে সমস্ত দলীয় শৃঙ্খলা মেনে চলবেন বলেন জানিয়ে দিয়েছেন কামারহাটির বিধায়ক।
এখানেই শেষ নয়, এদিন ২৫ মিনিটের ওই লাইভে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে মহাত্মা গান্ধী এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বোসের সঙ্গেও তুলনা করেন তিনি। এই তুলনার মাধ্যমে গান্ধী এবং সুভাষ চন্দের মধ্যে সম্পর্কের কথাই মনে করাতে চেয়েছেন তিনি। তিনি আরও বলেন, ‘ আমি তৃণমূলের পোষা জন্তু। মৃত্যুবরণ করব তাও দলত্যাগ করব না’। কল্যাণ ক্ষততেও প্রলেপ লাগাতে দেখা গেল মদন মিত্রকে। তিনি কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বন্ধু, দালাল নন। একথা স্পষ্ট করে যে ড্যামেজ কন্ট্রোলই করতে চাইলেন মদন তা বলাই বাহুল্য। তবে বিগত কদিনের ডামাডোলের পর মদনের এহেন বক্তব্যে যে খানিকটা হলেও স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলল রাজ্যের শাসকদল এমনটাই মনে করছেন পর্যবেক্ষকদের একাংশ।