‘এই পচা লোকজনেরাও তৃণমূল করে? কে নিল দলে!’ কুন্তলের বিরুদ্ধে সরব মদন মিত্র

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ নিয়োগ দুর্নীতি (Recruitment Scam) ইস্যুতে নাম ডুবেছে শাসকদল তৃণমূলের। প্রতিনিয়ত যোগ হচ্ছে নিত্যনতুন নাম, আর লম্বা হচ্ছে অভিযুক্তর তালিকা। দুর্নীতির অভিযোগে জেলবন্দি রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী, বিধায়ক থেকে শুরু করে যুব তৃণমূল নেতা কুন্তল ঘোষ (Kuntal Ghosh)। এবার এই কুন্তলকে নিয়েই মুখ খুললেন কামারহাটির তৃণমূল বিধায়ক (TMC MLA) মদন মিত্রও (Madan Mitra)।

এদিন প্রকাশ্যে শাসকদলের উদ্দেশে প্রশ্ন করে বিধায়ক বলেন, “এঁদের সূচ দিয়ে কে ঢুকিয়ে দিল দলে? তৃণমূল অবস্থান স্পষ্ট করুক।” প্রসঙ্গত, শিক্ষক কেলেঙ্কারি কাণ্ডে কেন্দ্রীয় সংস্থার হাতে গ্রেফতার হয়েছেন হুগলির তৃণমূল যুব নেতা কুন্তল ঘোষ। তার গ্রেফতারির পর থেকেই একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে উঠে এসেছে। একে একে কুন্তলের মুখে শোনা গিয়েছে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে তৃণমূলের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের নাম।

শনিবার এই প্রসঙ্গ তুলেই মদন মিত্র বলেন, “‌কুন্তল বলছে, সব টাকা দলপতিকে দিয়েছে। তারপর কালীঘাটের কাকু। এঁদের সূচ দিয়ে কে ঢুকিয়ে দিল দলে?” পাশাপাশি তৃণমূলের ‘কালারফুল বয়’ এর প্রশ্ন, “এই কুন্তলকে দলের দায়িত্বের চিঠি কে দিয়েছে? কার নির্দেশে চিঠি দেওয়া হয়েছে? একজন নেতা তো বলুক। এরা তৃণমূল করেন, না কি করেন না? তৃণমূল অবস্থান স্পষ্ট করুক। তাহলে আমরা দলের ছেলেদেরকে এই নিয়ে বলতে পারি।”

এখানেই থেমে যাননি মদন মিত্র। এরপর খানিক আক্ষেপের সুরে বিধায়ক বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলে এমনটা চলবে! এটা মানা যাচ্ছে না। এত পচা লোকজন তৃণমূল করে? ছিঃ!” দলের কাছে তার দাবি ,“যে সব নাম উঠে আসছে তৃণমূল করে বলে, কারা এদের নেতা? কে ঢোকাচ্ছে? এটা খোঁজা হোক। দলের একটা মিটিং ডাকা প্রয়োজন।”

kuntal, madan

তৃণমূল নেতার এহেন মন্তব্যেই অস্বস্তিতে রাজ্যের শাসকদল। এই বিষয়ে তৃণমূল মুখপাত্র বলেন, “দলের এখন মেদ কমানো হচ্ছে। উনি আমাদের দলের বিধায়ক। ওনার কিছু বলার থাকলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে বলুক। এভাবে দলের কথা প্রকাশ্যে বলা ঠিক নয়।” প্রকাশ্যে মদনের এই মন্তব্য নিয়ে যে বেজায় নারাজ কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh) তা বোঝা গেল মুখপাত্রের মন্তব্যেই।


Sharmi Dhar
Sharmi Dhar

শর্মি ধর, বাংলা হান্ট এর রাজনৈতিক কনটেন্ট রাইটার। উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতায় স্নাতকোত্তর। বিগত ৩ বছর ধরে সাংবাদিকতা পেশার সঙ্গে যুক্ত ।

সম্পর্কিত খবর