মিঠুন চক্রবর্তী জলঢোড়া, তাই মোদীর পায়ে মাথা ঠেকিয়েছেন: মদন মিত্র

রাজ্যে নির্বাচনী নির্ঘন্ট ঘোষিত হওয়ার পর এই প্রথম রবিবারে মোদীর হাইভোল্টেজ ব্রিগেডে ‘মহাগুরু’ মিঠুন চক্রবর্তীর যোগ দেওয়া একরকম নিশ্চিত ছিল। তবে তার ব্রিগেডে উপস্থিত হওয়া ও গেরুয়া পোশাক ধারণ করা যে ব্রিগেড মঞ্চকে এতটা রোমাঞ্চকর করে তুলবে, তা বোধহয় বিজেপি নেতৃত্বরাও আন্দাজ করেনি। আজ ব্রিগেড মঞ্চে মোদীর হাজির হওয়ার আগেই বিজেপি পতাকা হাতে তুলে নেন তৃণমূলের রাজ্যসভার প্রাক্তণ সাংসদ ও সুপারস্টার মিঠুন চক্রবর্তী। পদ্মশিবিরে যোগ দিয়েই তিনি তার একসময়ের জনপ্রিয় ডায়লগ ‘আমি জলঢোড়াও নই, বেলেবোড়াও নয়, আমি হলাম জাত গোখরা। এক ছোবলেই ছবি!’

এভাবে বিজেপির প্যারেড গ্রাউন্ডে একের পর এক সংলাপ উচ্চারণ করে, মোদীর সমাবেশকে অন্যমাত্রা দিয়েছে মিঠুন চক্রবর্তী। মূলত অনেক দূর থেকে মোদীকে দেখতে ও বক্তব্য শুনতে এলেও, রবিবাসরীয় সভা জমে উঠেছিল ‘এমএলএ ফাটাকেষ্ট’-কে ঘিরেই।

mithunc 1200 PTI

অন্যদিকে একই সময়ে পেট্রো পণ্যের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে শিলিগুড়ি থেকে মঞ্চে উঠে নরেন্দ্র মোদীকে মমতা ব্যানার্জী একহাত নিলেও, মিঠুন চক্রবর্তী প্রসঙ্গ তিনি সচেতন ভাবে এড়িয়ে গেলেন। তবে এড়াতে পারলেন না মদন মিত্রের মত তৃণমুলের দাপুটে নেতারা।

এদিন মিঠুন চক্রবর্তীর বিজেপিতে যোগ দেওয়া প্রসঙ্গে মদন মিত্রকে প্রশ্ন করা হলে, তিনি বলেন যে, ‘উনি খুবই দুঃখিত। মিঠুন চক্রবর্তী বলে যে মানুষটিকে চিনতেন, যিনি কখনো চাপের কাছে আপস করেন নি, কিন্তু অন্তিম পর্বে এসে দেখা গেল, গুঁতোয় পড়লে বাঘে গরুতে এক ঘাটে জল খাওয়ানোর চেষ্টা হয়।

তবে এখানেই থেমে না থেকে মদন মিত্রের ‘স্টাইল’-এ, তিনি মন্তব্য করেন, ‘মিঠুন চক্রবর্তীও যেন এটা ভুলে না যান , যে আমরাও খবর দেখি না, খবর পড়ি না, খবর তৈরি করি!’ এছাড়াও এদিন তিনি মন্তব্য করেন, মিঠুন চক্রবর্তী যতই নিজেকে জাত গোখরা বলুক না কেন, সত্যিই যদি ওঁ গোখরা হত তাহলে মোদির পায়ে গিয়ে জমা হতেন না।


সম্পর্কিত খবর