বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ‘আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনের ৭০ শতাংশ আসনে এজেন্ট আর মনোনয়ন দিতে পারবে না বিরোধীরা। এই নির্বাচনে যে ফলাফল হতে চলেছে, তাতে আগামী ২৫ বছর তৃণমূল ছাড়া অন্য কোন দলের পতাকা থাকবে না বাংলায়’, গতকাল বাঁকুড়ায় (Bankura) শ্রমিক সংগঠনের কালীপুজোয় যোগদানের মাধ্যমে ঠিক এই ভাষাতেই একের পর এক বিতর্কিত মন্তব্য করলেন কামারহাটির তৃণমূল (Trinamool Congress) বিধায়ক মদন মিত্র (Madan Mitra)।
অতীতে একাধিক সময় বিরোধীদের উদ্দেশ্য করে কড়া আক্রমণ এবং বেফাঁস মন্তব্যের জন্য খবর শিরোনামে থাকেন মদন মিত্র। গতকাল সেই ধারা বজায় রেখে মদন বলেন, “আগামী নির্বাচনে বিরোধীদের কি পরিস্থিতি হবে, তা বলতে গেলে জ্যোতিষী হতে হবে। তবে একটা কথা বলতে পারি, সেটা হল আগামী নির্বাচনে ৭০% আসনে মনোনয়ন কিংবা এজেন্ট দিতে সক্ষম হবে না বিরোধীরা। এক্ষেত্রে এতটাই ধাক্কা খাবে ওরা যে, আগামী ২৫ বছর তৃণমূল ছাড়া অন্য কোন দলের পতাকা বাংলায় থাকবে না।”
উল্লেখ্য, পঞ্চায়েত নির্বাচন আসন্ন আর তা কেন্দ্র করে ইতিমধ্যে একের পর এক বিতর্ক সৃষ্টি হয়ে চলেছে। একদিকে যখন শাসক দল রাজ্য পুলিশকে দিয়ে নির্বাচন করাতে বদ্ধপরিকর, আবার অপরদিকে বিরোধীরা সরকারের এই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে বিতর্ক কতদূর বিস্তৃত হয়, সেটাই দেখার।
পঞ্চায়েত নির্বাচনকে ইস্যু করে সম্প্রতি শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “পঞ্চায়েত নির্বাচন যদি রাজ্য পুলিশকে দিয়ে করানো হয়, তাহলে সরকারি তরফে প্রতিবাদের পাশাপাশি আদালতের নিকট উপস্থিত হব। রাজ্য পুলিশকে দিয়ে ভোট করালে নির্বাচনে কি পরিস্থিতি হয়, তা সকলের জানা। আদালতও দেখেছে। তৃণমূল কংগ্রেস হিংসার মাধ্যমে এবং ভোট লুট করে ক্ষমতায় বসে। তাই আমরা এর প্রতিবাদ করব। বিজেপি সর্বদা শান্তিপূর্ণ ভোট চায়।”
একইসঙ্গে এদিন শুভেন্দুর সুরে সুর মিলিয়ে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, “পঞ্চায়েত নির্বাচনে অশান্তির চেষ্টা করবে তৃণমূল কংগ্রেস। তবে আমরা বুথের পাশাপাশি রাজনৈতিক ময়দান এবং আদালতে লড়াই করব।”
প্রসঙ্গত, সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে আগামী বছর শুরুর দিকে পঞ্চায়েত নির্বাচন হতে চলেছে। এক্ষেত্রে অবশেষে রাজ্য পুলিশ নাকি কেন্দ্রীয় বাহিনীকে দিয়ে ভোট করানো হয়, সেদিকে নজর রয়েছে সকলের। একইসঙ্গে গতকাল মদনবাবুর বক্তব্যে বিতর্ক আরো বৃদ্ধি হলো বলেই মত বিশেষজ্ঞদের।