বাংলা হান্ট ডেস্ক : বাংলা ইন্ডাস্ট্রির এক পোড় খাওয়া পরিচালক হলেন হরনাথ চক্রবর্তী। সেই কোন ১৯৮৯ সাল থেকে সিনেমা তৈরি করে চলেছেন হরনাথ। দীর্ঘ কেরিয়ারে অসংখ্য হিট ছবি উপহার দিয়েছেন বাংলার বিনোদনপ্রেমীদের। চলতি বছরে আরও রঙিন ছবি নিয়ে এসেছেন দর্শকদের জন্য। আর এবার তার সঙ্গী বাংলার কালারফুল বয় মদন মিত্র (Madan Mitra)।
‘ওহ লাভলি’ শব্দবন্ধটির কপিরাইট যে রঙিন মানুষটির তিনি মদন মিত্র, তাকেই ক্যামেরার সামনে নিয়ে এসেছেন পরিচালক। গল্পের কথা বললে, বোলপুরের প্রভাবশালী চাল ব্যবসায়ীর (খরাজ মুখোপাধ্যায়) ছোট ছেলে সন্তু (ঋক)। সে আবার তার বাবার ব্যবসায় আগ্রহী নয়। তার ইচ্ছে চাকরি করবে। আর তাতে সায় রয়েছে তার মায়ের (লাবনী সরকার)।
মায়ের সাপোর্ট নিয়ে সন্তু পাড়ি দেয় কলকাতায়। আর সেখানেই তার পরিচয় হয় নিধির (রাজনন্দিনী পাল) সঙ্গে। এই তরুনীও হন্যে হয়ে চাকরি খুঁজছে। এমতাবস্থায় সন্তু আর নিধির বন্ধুত্ব প্রেমের সম্পর্কে পৌঁছাতে সময় লাগেনা। এমনকি সম্পর্ককে সামাজিক স্বীকৃতি দেওয়ার কথাও ভাবে তারা। তবে তার আগে নিধির শর্ত, সন্তুর গোটা পরিবারের উপস্থিতিতেই বিয়ে করবে সে। এদিকে সন্তু তো ভয়েই অস্থির।
আরও পড়ুন : শোভন-বৈশাখী অতীত, এবার বাজার গরম করতে আসরে কাঞ্চন-শ্রীময়ী, দম্পতির কাণ্ড দেখে ‘থ” নেটিজেনরা
তাহলে কি নিধির বাবা মেয়ের বিয়ে দিয়ে দেবে অন্য ছেলের সঙ্গে। পূর্ণতা পাবে না নিধি আর সন্তুর প্রেম? সেটা জানার জন্য অবশ্যই দেখতে হবে ছবিটি। অভিনয় প্রসঙ্গে বললে, অভিনেতা মদনের প্রশংসা হরনাথের মুখে। জানালেন, ‘উনি পাকা অভিনেতার মতো কাজ করেছেন। মদনদাকে পেয়ে সেটেও সবাই খুব উৎসাহে কাজ করেছে সেটে।’ এককথায় নেতা মদন মিত্রকে ছাপিয়ে গেছে অভিনেতা মদন মিত্র।
আরও পড়ুন : বৈবাহিক জীবনের অশান্তির জের! বিচ্ছেদের গুজব উসকে বিস্ফোরক ভিডিও পোস্ট নীলের, তুঙ্গে জল্পনা
জীবনের প্রথম ছবি নিয়ে মদনের কি অভিজ্ঞতা? কোথাও কি একটু টেনশন কাজ করছে? নাহ্, টেনশনের বালাই তো নেইই বরং বেশ খোশমেজাজেই পাওয়া গেল কামরাহাটির বিধায়ককে। হাসি হাসি মুখে বলেন, ‘লোকের উন্মাদনা দেখে মনে হচ্ছে যেন শোলে রিলিজ করেছে। দারুণ অভিজ্ঞতা। নানা জায়গা থেকে যা খবর আসছে তাতে একাধিক জায়গায় শো হাউজফুল। ৩৫টি হলে মুক্তি পেয়েছে ছবিখানা।’
এরপর তিনি আরও বলেন, ‘চন্দ্রযান ৩-র সফল উৎক্ষেপণ হয়েছে। তার পেট থেকে আরেকটা যন্ত্র বেরিয়েছে। সেরকমই আমারও রাজনৈতিক জীবনে রাজনীতিবিদ মদন মিত্রের শরীর থেকে আরেকটা অঙ্গ ওহ লাভলি বলে বেরিয়েছে। এবং ওহ লাভলি একটা অসাধারণ মিষ্টি ছবি।’ এই কথার পাশাপাশি যাদবপুরকে খোঁচা দিয়ে তিনি বলেন, ‘চারিদিকে তো আগলি। তার মাঝে পছন্দের মানুষটিকে নিয়ে চুপ করে পালিয়ে গিয়ে ওহ লাভলি দেখুন।’