নিজেই নিজের মুখে লাগাম টানলেন মদন মিত্র, বললেন ‘আর নয়”! হঠাৎ কী হল বাংলার ক্রাশের?

বাংলাহান্ট ডেস্ক : নানা কেলেঙ্কারির অভিযোগ উঠেছে তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার তদন্তে উঠে আসছে একের পর এক তৃণমূলের হেভিওয়েট নেতাদের নাম। স্কুল সার্ভিস কমিশন দুর্নীতি ও গরু পাচার মামলায় ইতিমধ্যেই গ্রেফতার হয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেসের দুই বড় নেতা পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও অনুব্রত মণ্ডল। তাদের গ্রেফতারি নিয়ে দলের অন্দরেই বিভিন্ন নেতার মন্তব্যে বেজায় অস্বস্তিতে পড়েছে দল। কিছুদিন আগেই তৃণমূল মুখপাত্র কুনাল ঘোষের মন্তব্যকে ঘিরে শোরগোল পড়ে যায়।

পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়ে দলের কোপে পড়েন তিনি। আনঅফিসিয়ালি তাকে “সেন্সর” করে তৃণমূল। এছাড়াও সম্প্রতি শালবনির বিধায়ক শ্রীকান্ত মাহাতরও বক্তব্যকে ঘিরে শোরগোল পড়ে গেছে দলের অন্দরে। এরই মাঝে ফের বিস্ফোরক কামারহাটির তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্র। একটি ভিডিও বার্তার মাধ্যমে তিনি জানিয়েছেন, তার বক্তব্যের জন্য অস্বস্তিতে পড়তে হচ্ছে দলকে। তাই সংবাদমাধ্যমে কথা বলার সময় তিনি দলীয় গাইডলাইন মেনে চলবেন। মদন মিত্র বলেছেন দলের সুবাদে এতদিন অনেক প্রচার পেয়েছেন। আর তার প্রচারের দরকার নেই।

মদন মিত্র বলেছেন, “আমি আমার রাজনৈতিক দলের নামে শপথ করে বলছি সংবাদমাধ্যমে কেমন আছেন ভালো আছেন বা পাবলিক প্রোগ্রাম বা মিটিং এর বাইরে অন্য কথা বলবো না। আমার যা বক্তব্য তা আমি ফেসবুক, ইউটিউব বা ইনস্টাগ্রাম এ জানাবো। সাংবাদিক বন্ধুদের বলছি আমাকে ভুল বুঝবেন না। আপনাদের সাথে বন্ধুত্ব অটুট থাকবে। একটাই অনুরোধ আমার মুখের সামনে বুম নিয়ে জিজ্ঞেস করবেন না অমুক ব্যক্তির সম্বন্ধে আমার মতামত কি। কারণ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তৃণমূল কংগ্রেসের দয়ায় পশ্চিমবঙ্গে মদন মিত্র নামটা যথেষ্ট পরিচিত। এর বাইরে আমার আর প্রচারের দরকার নেই। মদন মিত্রের নাম যদি আগামী পাঁচ বছর উচ্চারিত না হয় তাহলেও বাংলার মানুষ আমাকে মনে রাখবেন।”

এর সাথেই তার সংযোজন,” পার্থ চট্টোপাধ্যায় বা অনুব্রত মণ্ডল কি করেছেন তা আদালতের বিচার্য বিষয়। তা নিয়ে আমি কোন মন্তব্য করব না। শুধু বলার, তাদের সাথে আমার দীর্ঘদিনের পরিচয়। তাদের সাথে হৃদ্যতাও ছিল। আমি আমার মন্তব্যে তাদের আঘাত করতে চাইনি। যেকোনো কারণেই হোক আমার কোনো মন্তব্যকে ঘিরে এই বিবৃতি বেরিয়ে আসছে যে আমি পার্থ চট্টোপাধ্যায় বা অনুব্রত মণ্ডলের সম্পর্কে কথা বলে দলকে বিড়ম্বনায় ফেলছি।”

madan mitra 1 5

প্রসঙ্গত পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের গ্রেফতারির পর সংবাদমাধ্যমে মুখ খোলেন মদন মিত্র। একবার তিনি বলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের পূজোতে লোকজনের এসে কি বলবে তা ভাবতেও তার ভয় করে। আবার কখনো বলেছেন একা থাকতে অভ্যেস করতে হয়। হিটলারও শেষ জীবনে বাংকারে একা ছিলেন। মদন মিত্রের এহেন বিভিন্ন মন্তব্যকে ঘিরে অস্বস্তিতে পড়েছিল তৃণমূল কংগ্রেস।


Soumita

আমি সৌমিতা। বিগত ৩ বছর ধরে কর্মরত ডিজিটাল সংবাদমাধ্যমে। রাজনীতি থেকে শুরু করে ভ্রমণ, ভাইরাল তথ্য থেকে শুরু করে বিনোদন, পাঠকের কাছে নির্ভুল খবর পৌঁছে দেওয়াই আমার একমাত্র লক্ষ্য।

সম্পর্কিত খবর