বাংলাহান্ট ডেস্ক : এখন সোশ্যাল মিডিয়ার (Social media) জগতে আমরা এমন অনেক মানুষের পরিচয় পাই যারা প্রতিদিন জীবনযুদ্ধে লড়াই করে লড়েছেন। সবাইকে আমাদের নাগালের মধ্যে পাওয়া সম্ভব না হলেও তারা সবসময়েই আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দুতে থাকেন। সেই রকমই আমরা যারা ফুড ব্লগিংয়ের (Food Blogging) ভিডিও দেখি আমরা অনেকেই নন্দিনীকে চিনি। এই প্রসঙ্গে বলে রাখা দরকার, নন্দিনী সম্প্রতি তার ফুড ভিডিও এবং ফুটপাতে বিক্রি করা রান্নার দৌলতেই বিখ্যাত হয়েছেন। সেই নন্দিনী গঙ্গোপাধ্যায়ের (Nandini Ganguly) ফুটপাতের হোটেলে (Spice Hotel) হঠাৎ পৌঁছে গেলেন তৃণমূল (All India Trinamool Congress) বিধায়ক (MLA) মদন মিত্র (Madan Mitra)।
ঠিক কী কারণে নন্দিনীর দোকানে উপস্থিত হলেন তিনি? মদন মিত্র সংবাদ মাধ্যমে জানান যে, তাঁর বিধানসভা এলাকার স্কুলে খেলা বা স্পোর্টস কম্পিটিশন রয়েছে এবং তার জন্য দল ও স্কুলের তরফেও তাঁকে বলা হয় খাবারের ব্যবস্থা করতে। সেই সূত্রেই তিনি একজন পরিচিতের কাছ থেকে নন্দিনীর দোকানের খোঁজ পেয়ে সোজা চলে আসেন অফিস পাড়ায় ডালহৌসিতে।
এরপরেই নন্দিনীর ফুটপাতের হোটেলে অর্ডার দেন তিনশো প্লেট মাংস ভাতের। পাশাপাশি নিজে পালং শাকের তরকারিও খান। তবে শুধু খাবারের অর্ডার দিয়ে এবং খেয়েও ক্ষান্ত হননি বিধায়ক। তিনি দেখা করেন নন্দিনীর বাবা মায়ের সাথে। পাশাপাশি তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করেন যে তাঁদের কোনো অসুবিধা হয় কীনা এবং তাঁদের প্রতিশ্রুতি দিয়ে আসেন তাঁদের যদি কোনো অসুবিধা হয় বা নন্দিনীর যদি কোনো সমস্যা হয়, তাঁরা যেন তাঁকে সেই খবর জানাতে দ্বিধা বোধ না করেন।
সূত্রের খবর, নন্দিনীর বাবা মা তো মদন মিত্রের প্রশংসায় পঞ্চমুখ। তাঁরা জানান এমন অমায়িক মানুষ তাঁরা দেখেননি। তাঁরা মদন মিত্রকে জানান যেহেতু তাঁদের দোকানটি রাস্তার ওপর, তাই মাঝে মাঝে খুব সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। কারণ যদি কোনোদিন ফুটপাত দখল হয়, তাঁদের সমস্যায় পড়তে হবে। নন্দিনী নিজে ফ্যাশন ডিজাইন নিয়ে পড়াশোনা করেছেন, তবে মা বাবাকে সাহায্য করতে এবং সবসময় তাঁদের পাশে থাকতে আজ তিনি ফুটপাতে একটি হোটেলের মালিক। তবে মদন মিত্রের আগমনের পর তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় যে আরও ভাইরাল হবেন তা বলাই বাহুল্য।