বাংলাহান্ট ডেস্ক: সাধে ‘কালারফুল বয়’ বলা হয় না তাঁকে। রাজনীতির জগতের মানুষ হলেও মদন মিত্রর (Madan Mitra) ওঠাবসা বেশিটাই বিনোদন দুনিয়ার সঙ্গে। অভিনেতা অভিনেত্রীদের মধ্যে অনেকের সঙ্গেই তাঁর বেশ ঘনিষ্ঠতা। তবে নায়িকাদের সঙ্গে অন্তরঙ্গতা একটু বেশিই বলে কটাক্ষ করেন নিন্দুকেরা। সম্প্রতি অভিনেত্রী মধুমিতা সরকারের (Madhumita Sarcar) সঙ্গে তাঁর ছবি দেখে ট্রোল শুরু হয়েছিল নেটপাড়ায়।
মধুমিতার বিলাসবহুল বিএমডব্লিউ গাড়িতে বসে থাকতে দেখা গিয়েছিল কামারহাটির তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্রকে। অভিনেত্রীর হাতে হাত রেখে তাঁর দিকে তাকিয়ে ফ্রেমবন্দি হন তিনি। আর সেই ছবি পোস্ট হতেই শুরু হয়ে যায় কুরুচিকর, রসালো মন্তব্যের ঝড়। এবার উত্তর দিলেন মদন। স্বভাবোচিত রসিকতায় বলে ওঠেন, ‘আমি রামকৃষ্ণের মতো। দুধটুকু নিয়ে জলটুকু ফেলে দিই। প্রশংসাটাই গ্রহণ করি, কিন্তু নোংরামি বর্জন করি’।
মধুমিতাকে নিয়ে বিতর্কের উত্তরও দিয়েছেন মদন মিত্র। অভিনেত্রীর হাত ধরায় সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছিল তাঁকে। কিন্তু বিধায়কের সাফ উত্তর, হাত ধরা কি কোনো অন্যায়? সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁর বেশিরভাগ ফলোয়ারই মহিলা। তার মধ্যেও আবার তরুণীদের আধিক্য বেশি। ‘আই লাইক ইট’, অকপট মদন মিত্র।
মধুমিতার প্রশংসাও করতে শোনা যায় মদন মিত্রকে। তিনি নাকি অসাধারণ অভিনেত্রী। খুবই বোল্ড। জাতীয় স্তরের দিকে এগোচ্ছেন তিনি। হায়দ্রাবাদেও গিয়েছেন কাজ করতে। স্টারডমের দিক দিয়ে এক নম্বর হওয়ার লক্ষ্য মধুমিতার, জানালেন মদন মিত্র।
মধুমিতাকে বিএমডব্লিউ চালাতে দেখেও অবাক রাজনীতিবিদ। তিনি যে এত ভাল গাড়ি চালাতে পারেন তা ভাবতেও পারেননি মদন। তিনি বলেন, মধুমিতা অনেক লড়াই করেছেন। সাফল্যের জন্য কী পরিমাণ পরিশ্রম করতে হয় তা মধুমিতাকে দেখে শেখা উচিত বলে মন্তব্য করেন মদন মিত্র।