বাংলাহান্ট ডেস্ক: কিছুদিন আগেই অভিনেত্রী সায়নী ঘোষকে (sayani ghosh) কেন্দ্র করে তুঙ্গে উঠেছিল রাজনৈতিক তরজা। শিবলিঙ্গে কন্ডোম পরানোর একটি ছবি যা সায়নী বহুদিন আগে সায়নী টুইট করেছিলেন তা নিয়েই হঠাৎ করে তোলপাড় শুরু হয় চলচ্চিত্র তথা রাজনৈতিক মহলে। অভিনেত্রীর বিরুদ্ধে FIR ও দায়ের করেন বিজেপি (bjp) নেতা তথাগত রায়।
অপরদিকে সায়নীর পাশে দাঁড়িয়ে বিরোধী দলকে ধমকাতে শোনা যায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। এবার ‘দিদি’র সুরে সুর মিলিয়েই সায়নীকে সমর্থন করলেন রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী মদন মিত্র (madan mitra)।
এই মুহূর্তে অন্যতম ‘প্রতিবাদী কণ্ঠ’ সায়নী, ভবানীপুরের এক অরাজনৈতিক অনুষ্ঠানের মঞ্চে দাঁড়িয়ে অভিনেত্রীর জন্য এমনি প্রশংসা শোনা গেল তাঁর মুখে। তিনি আরো বলেন, “আমার আসার কথা ছিল পাঁচটায়, কিন্তু এসেছি তিনটেয়। তার কারণ একটাই। সায়নী তুমি এগিয়ে চলো, গোটা সরকার গোটা বাংলা তোমার পাশে আছে।”
‘লাভ জিহাদ’ ইস্যুতেও এদিন বিজেপির উদ্দেশে তোপ দাগেন মদন মিত্র। তিনি বলেন, “ইকোপার্কে যেমন ছেলেমেয়েরা ঘুরতে যায়, এই গাজা পার্কও তেমন করে বানানো হোক যাতে ভবানীপুরের ছেলে মেয়েরা এখানে ঘুরতে আসে। আমরা লাভ জিহাদ মানি না। বাংলায় অ্যান্টি রোমিও স্কোয়াড হবে না। বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর নাম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।”
এর আগে সায়নীর হয়ে সুর চড়াতে দেখা গিয়েছিল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। পুরুলিয়ার জেলা কংগ্রসের জনসভায় নাম না করে বিজেপি নেতা তথাগত রায়ের উদ্দেশে কটাক্ষ করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “সায়নী নামে একটা মেয়ে ছবিতে কাজ করে। তাঁকে ধমকানো চমকানো হচ্ছে। তুমি উত্তর প্রদেশে ধমকাও, দিল্লিতে ধমকাও, বিহারে ধমকাও, বাংলায় ধমকানোর আশা কিকরে রাখো? ক্ষমতা থাকলে সায়নীর গায়ে হাত দিয়ে দেখাও।”
তথাগত রায়ের নাম না করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “বয়স হয়ে গিয়েছে তাও ভীমরতি যায় না। নাতনির বয়সী মেয়েকে প্রতিদিন ধমকাচ্ছে। কেন তার কি বাক স্বাধীনতা নেই?”