বাংলাহান্ট ডেস্ক: রাজ্য রাজনীতির ‘কালারফুল বয়’ মদন মিত্র (Madan Mitra)। কামারহাটির বিধায়ক চর্চায় থাকেন না এমন দিন খুব কম। বিতর্কও কম নেই তাঁর নামে। তবুও মদন মিত্র বিন্দাস! রাজনীতি ছাড়াও অন্য সব বিষয়েও বেশ আগ্রহ বিধায়কের। বিশেষ করে বিনোদনে। খুব শীঘ্রই ছবিতে অভিষেকও করতে চলেছেন তিনি।
আসছে মদন মিত্রর বায়োপিক। বিনোদন জগতের মানুষজনদের সঙ্গে তাঁর নিত্য ওঠাবসা। যারা দলে যোগ দিয়েছেন তারা তো বটেই, ইন্ডাস্ট্রির অন্য অভিনেতা অভিনেত্রীদের সঙ্গেও দারুন সখ্যতা মদন মিত্রের। মনে করে তাদের জন্মদিনে শুভেচ্ছা জানাতে পৌঁছে যান কামারহাটির বিধায়ক। বিনোদুনিয়ার সঙ্গে সরাসরি যুক্ত না হয়েও সে জগতে অবাধ বিচরণ তাঁর।
পরিচালক রাজর্ষি দে তৈরি করছেন মদন মিত্রর বায়োপিক। সেখানে নিজেও নাকি অভিনয় করতে চলেছেন বিধায়ক। সম্প্রতি জিতের ‘রাবণ’ ছবির প্রিমিয়ারে দক্ষিণ কলকাতার এক শপিং মলে পৌঁছেছিলেন তিনি। সেখানেই সাংবাদিকদের সামনে মদন মিত্র জানান, নিজের বায়োপিকে এক রাজ্যপালের চরিত্রে অভিনয় করতে চলেছেন তিনি।
বিধায়ক জানান, কিংবদন্তি পরিচালক সত্যজিৎ রায় যখন ‘পথের পাঁচালি’ ছবির জন্য পুরস্কার জিতে দেশে ফেরেন তখন যে রাজ্যপাল তাঁকে পুরস্কৃত করেছিলেন তাঁর ভূমিকাতেই দেখা যাবে বিধায়ককে। এমতাবস্থায় স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন ওঠে, মদন মিত্র নিজে রাজ্যপালের চরিত্রে অভিনয় করলে তাঁর ভূমিকায় কে থাকছেন?
এই সময়কে পরিচালক রাজর্ষি দে জানান, মদন মিত্রের চরিত্রে শাশ্বত চট্টোপাধ্যায়কে আপাতত ভাবা হয়েছে। এছাড়াও তনুশ্রী চক্রবর্তী, মল্লিকা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো অভিনেত্রীরাও থাকতে পারেন।
মদন মিত্রের বায়োপিক মানেই যথেষ্ট পরিমাণ বিনোদনের যোগান। কিন্তু পরিচালক বলেন, যে কালারফুল মদন মিত্রকে আজ আমরা দেখছি তিনি কিন্তু চিরদিন এমন ছিলেন না। রাজনৈতিক জীবনেও অনেক উত্থান পতনের মধ্যে দিয়ে যাওয়ার পর আজকের মদন মিত্র হয়ে উঠেছেন তিনি। সেইসব কাহিনি, দলের প্রতি তাঁর আনুগত্য, জনপ্রিয়তা সবটাই ধরা দেবে ছবিতে। চলতি বছরের শেষেই শুরু হতে চলেছে বায়োপিকের শুটিং।
নিজের এলাকার জন্য যে উন্নয়নের কাজগুলো করেছেন বিধায়ক, দক্ষিণেশ্বরকে আমূল বদলে ফেলেছেন। বরানগর, ডানলপের মতো জায়গায় কোনো সাম্প্রদায়িক হিংসা হানাহানির ঘটনা কখনো শোনা যায়নি বিধায়ক মদন মিত্রের সময়ে। তার জন্য বিধায়ককে সাধুবাদ দিয়েছেন পরিচালক।