বাংলা হান্ট ডেস্কঃ কেটে গিয়েছে সাগরদিঘি উপনির্বাচন (Sagardighi Bypolls)। ফলাফলও বেরিয়ে গিয়েছে বেশ কিছুদিন। তবে কিছুতেই বিতর্ক যেন থামারই নাম নিচ্ছেনা উপনির্বাচনকে ঘিরে। প্রসঙ্গত, কংগ্রেসের জয় হয়েছে সাগরদিঘিতে, তৃণমূলের (TMC) হাতছাড়া হয়েছে এই বিধানসভা কেন্দ্র। এই নিয়েই যখন চরম অস্বস্তিতে শাসকদল সেই সময়ই ফের দলকে নিয়ে বিস্ফোরক কামারহাটির তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্ৰ ( Madan Mitra )।
রাজ্য জুড়ে চর্চার কেন্দ্রবিন্দু সাগরদিঘির ফলাফল। সেখানে তৃণমূলের কাছ থেকে ক্ষমতা ছিনিয়ে নিয়েছে কংগ্রেসের বায়রন বিশ্বাস। পঞ্চায়েত ভোট পূর্বে হাতের এই বিপুল জয় যে নিঃসন্দেহে তাৎপর্যপূর্ণ তা বলার অবকাশ রাখে না। এবার এই ফলাফল নিয়েই রবিবার সংবাদমাধ্যমের কাছে মুখ খোলেন তৃণমূলের মদন মিত্র।
কামারহাটির বিধায়ক বলেন, “দল যা সিদ্ধান্ত নেবে, তা-ই ঠিক। দলীয় কর্মী হিসেবে আমার মনে হয়েছে যে, দলের মধ্যে অন্তর্ঘাত রয়েছে। একটা চক্রান্ত রয়েছে। যে, যত বড় নেতাই হোন না কেন, দল রেয়াত করবে না। প্রত্যেকের গতিবিধির উপর নজর রাখা উচিত।” দলকে নিয়েই মদনের এই বিস্ফোরক মন্তব্যের পর শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা।
বিধায়কের মন্তব্য প্রসঙ্গে, বিজেপি-র মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেন, “তিনি মদন মিত্র। তাই শুধু এই টুকু বলতে পারি যে, ওরা দিঘিতে ডুবেছে, সাগরে ডুবতে চলেছে। এই বক্তব্য, আত্মসমালোচনা, অন্তর্ঘাত, সব অপ্রাসঙ্গিক। মানুষের কাছে তৃণমূলের কোনও বক্তব্যই এখন প্রাসঙ্গিক নয়।”
এই প্রসঙ্গে মুখ খোলেন সিপিএম-এর কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তীও। বাম নেতা বলেন, “তৃণমূলে তোলাবাজি থাকবে না, পারস্পরিক লড়াই থাকবে না, বখরার ভাগাভাগি থাকবে না, এটা আবার কল্পনা করা যায় নাকি! এটা একটা সার্কাস পার্টি। করে খাওয়ার জায়গা। তৃণমূলের নেতারাই বলছেন। এর মধ্যে নতুন কী! মদন মিত্র রাগ-দুঃখ করেছেন হয়ত, সেই কারণে বলেছেন।”
তবে সাগরদিঘিতে কংগ্রেসের এই জয় নিয়ে একেবারেই চিন্তিত নন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়। ফলাফলকে গুরুত্ব না দিয়ে তিনি বলেন, বাম, কংগ্রেস, সিপিএম সকলে তৃণমূলকে হারাতে পরস্পরের মধ্যে ভোট হস্তান্তরও করেছে। তাদের কাউকে নিয়ে তৃণমূলের চিন্তিত হওয়ার কোনও কারণ নেই। পাশাপাশি কংগ্রেস জোটকেই ‘অনৈতিক’ তকমাও দিয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমো।