বাংলাহান্ট ডেস্ক : দিনকয়েক পরেই পঞ্চায়েত নির্বাচন। এই পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে রাজ্যবাসীর উদ্দেশ্যে শান্তির বাণী ছড়িয়ে দিলেন কামারহাটির বিধায়ক মদন মিত্র। আর তা নিয়ে এখন রাজ্য–রাজনীতিতে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। বলা বাহুল্য, আগেও তিনি নানা মন্তব্য করে খবরের শিরোনামে উঠে এসেছিলেন। এবার গঙ্গাবক্ষে দাঁড়িয়ে মদন মিত্র (Madan Mitra) দিলেন শান্তির বার্তা।
চৈতন্য দেবের পাদুকা নবদ্বীপ থেকে আসছে কলকাতায় (Kolkata)। সেই উপলক্ষে ভবানীপুরে বৃহস্পতিবার আয়োজন করা হয়েছে পুজোর। তার আগে মদন মিত্র বুধবার বাবুঘাটে এলেন গঙ্গাজল নিতে। বৃহস্পতিবার সেই গঙ্গাজল দিয়ে চৈতন্যদেবের পাদুকা ধুয়ে তিনি সম্মান জানাবেন। আজ মদন মিত্র নীল হাফ প্যান্ট পড়ে ও গায়ে কাপড় চাপিয়ে হাতে কলসি নিয়ে পৌঁছান গঙ্গার ঘাটে।
এরপর গঙ্গায় ডুব দিয়ে কলসি হাতে মদন মিত্র বলেন, “আমাদের ইতিহাস অনুযায়ী গৌরাঙ্গ মহাপ্রভু পুরী গিয়েছিলেন। পুরীর মন্দিরে প্রবেশও করেছিলেন। কিন্তু তারপর তার কি হয় তা ইতিহাসে কেউ জানে না। যে সময়ে ভারতবর্ষ অশান্ত হয়ে উঠেছিল সেই সময় তিনি প্রেমের মাধ্যমে মানুষকে কাছে টেনে নিয়েছিলেন। যতদিন চন্দ্র-সূর্য থাকবে, ততদিন গৌরাঙ্গ মহাপ্রভুর অন্তর্ধান নিয়ে রহস্য থাকবে।”
এরই সাথে মদনের আরো বক্তব্য, “থানেশ্বর আশ্রমে গৌরাঙ্গ মহাপ্রভুর পাদুকা যুগল তার দ্বিতীয় স্ত্রী বিষ্ণুপ্রিয়া দেবী আজীবন পূজা করে এসেছেন। মহাপ্রভুর চরণ যুগল সামনে রেখে আমরা শপথ নেব ভারতবর্ষের বুকে যে একদল মানুষ চারিদিকে দাঙ্গা তৈরি করছে, যারা বাংলা আর ভারতের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করছে, তাদের সরিয়ে আমরা বাংলাকে নবজাতকের বাসযোগ্য করে যাব।”
জানা গিয়েছে, ভবানীপুর ইউথ ফোরামের উদ্যোগে ভবানীপুরে সেই পাদুকা যুগল আনা হচ্ছে। মদন মিত্র আরোও বলেন, “এই যে জল আমি নিলাম এই জলেই স্নান করানো হবে মহাপ্রভুর পাদুকা যুগলকে।” সেখানে তার সাথে বেশ কিছু অনুগামীও ছিল।পঞ্চায়েত ভোটের আগে কামারহাটির বিধায়ক বললেন, “একদম গোটা বাংলাকে গঙ্গার জলে আচমন করিয়ে দেব, শান্ত করে দেব।”