বাংলা হান্ট ডেস্কঃ মহালয়ার দিন বিজেপির (Bharatiya Janata Party) সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh) এবং বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) ছবিতে মালা পরিয়ে তর্পণ সারেন তৃণমূল কংগ্রেস (Trinamool Congress) নেতা মদন মিত্র (Madan Mitra)। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিতর্ক যেন ক্রমাগত বৃদ্ধি পেয়েই চলেছে। একদিকে যেমন বিজেপি নেতারা মদনের উদ্দেশ্যে একের পর এক কটাক্ষ ছুড়ে দিয়েছে, আবার অপরদিকে বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় (Biman Banerjee) তাঁর বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছেন আর এবার স্পিকারকে পাল্টা কটাক্ষ ছুড়ে দিলেন মদন মিত্র।
উল্লেখ্য, মহালয়ার দিন পিতৃপুরুষদের উদ্দেশ্যে তর্পণ করে তাদের উত্তরসুরিরা। সেই ধারা বজায় রেখে বাবুঘাটে রওনা দেন কামারহাটির বিধায়ক মদন মিত্র। তবে পরবর্তীতে দিলীপ ঘোষ এবং শুভেন্দু অধিকারীর ছবিতে মালা পরাতে দেখা যায় তাঁকে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে মুহূর্তের মধ্যেই চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে সর্বত্র। মদনের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দেয় বিজেপি নেতৃত্ব।
অপরদিকে তৃণমূল নেতার এহেন কর্মকাণ্ডের পাশে দাঁড়ায়নি তাঁর দলও। কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম বলেন, “দিলীপ ঘোষ এবং শুভেন্দু অধিকারীদের সঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেসের রাজনৈতিক মত পার্থক্য রয়েছে। তবে আমরা সবার দীর্ঘায়ু কামনা করি। যারা জীবিত, তাদের তর্পণ কখনোই হয় না।”
অপরদিকে, আক্রমণের ঝাঁঝ আরো বাড়িয়ে তুলে বিধানসভা স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, “এগুলো কখনোই ভালো দৃষ্টান্ত স্থাপন করার বিষয় নয়। মিডিয়ার সামনে কেবলমাত্র publicity পাওয়ার জন্য এসব কর্মকাণ্ড করা হয়ে থাকে। তবে উনি যদি এসব কাণ্ড না ঘটান, তবেও মদন মিত্রই থাকবেন। নিজের কাজ নিজেকে করে যেতে হবে। সাংবাদিকদের বলছি, এই যে পাবলিসিটি হচ্ছে, তা আপনারা দিয়েছেন। আমি আর কি বলব?”
উল্লেখ্য, সেই বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে মদনের জবাব, “বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় বিধানসভার স্পিকার, তৃণমূল কংগ্রেসের নন।” বিমানের উদ্দেশ্য তৃণমূল বিধায়ক বলেন, “নতমস্তকে আপনাকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। উনি বলেছেন, মদন মিত্র তো এমনিতেই মদন মিত্র। এসব যদি না করত, তাহলেও পারতেন। এটা আমি মেনে নিচ্ছি। কিন্তু আমি বলতে চাই, আপনি বিধানসভার স্পিকার, তৃণমূল কংগ্রেসের নন। আপনার সামনে আমাকে রেজিস্টার মাতাল বলার পাশাপাশি গালিগালাজ করে শুভেন্দু অধিকারী। বিধানসভায় কোন মন্তব্য করছে, তা সেখানে এক্সপাঞ্জ করা যায় না। ঘটনাটি বিধানসভার নয়।”
একইসঙ্গে তিনি আরো বলেন, “আমায় কোনো নিউজ চ্যানেল তোলেনি। আমি ভোটে জিতেছি নিজের জোরে। কোন চ্যানেলের জন্য নয়। রাজ্যের যে কোন প্রান্তে যদি ভোট করানো হয়, আমি শুভেন্দু অধিকারীকে হারাতে পারি। তুড়ি মেরে বের করে দেবো ওকে।”