বাংলা হান্ট ডেস্কঃ একের পর এক অভিনব কাজকারবার করে সকলকে চমকে দিতে তিনি রীতিমতো পটু। এর আগেও ফেসবুক লাইভে তার একাধিক কর্মকাণ্ড তাজ্জব করে দিয়েছে সকলকে। নাম না বলে শুধু দলটা বললেই বোধহয় বোঝা যাবে কার কথা বলছি আমরা। তিনি আর কেউ নন, কামারহাটির তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্র (Madan Mitra)। যার সম্পর্কে এমন কি দিলীপ ঘোষও রসিকতা করে বলেন, আপনার মত হিরো তৃণমূলে এক পিসই রয়েছে।
এবার নতুন কি কাণ্ড ঘটালেন তিনি? আর কিছু না সকাল সকাল ভবানীপুরের রাস্তায় দাঁড়িয়ে বিক্রি করলেন চা। মাথায় কালো টুপি গায়ে কালো পাঞ্জাবি চরিয়ে রাস্তায় দাঁড়িয়ে মাটির ভাঁড়ে চা বিক্রি করলেন বেশ কয়েক ঘন্টা। কিন্তু সেই চা খেতে গেলে অবশ্য আপনার পকেট ফেটে চৌচির হয়ে যেতে পারে। কারণ এক কাপ চায়ের দাম ১৫ লক্ষ টাকা। ভাবছেন নিশ্চয়ই এ আবার কেমন ঘটনা?
এটাই ছিল মদন মিত্রের অভিনব প্রতিবাদ। ২০১৪ সালে ক্ষমতায় আসার আগে প্রধানমন্ত্রী মোদী (Narendra Modi) জনসভা থেকে কথা দিয়েছিলেন, বিদেশ থেকে কালো টাকা আনতে পারলে ১৫ লক্ষ টাকা এমনি পৌঁছে দেওয়া যাবে সকলের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে। পরবর্তীকালে অবশ্য এ নিয়ে যথেষ্ট বেগ পেতে হয়েছে মোদী সরকারকে। অন্যদিকে প্রধানমন্ত্রীর উঠে আসা স্টেশনের চাওয়ালা থেকে। সেই ইমেজকেও যথেষ্ট ব্যবহার করা হয়েছিল ২০১৪ লোকসভা নির্বাচনে।
আর তাই সেই মোদী সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ গড়ে তুলতে গিয়ে চাওয়ালা এবং ১৫ লাখ টাকার ‘জুমলা’-কেই ব্যবহার করলেন কামারহাটির বিধায়ক। বেশ কিছুদিন ধরেই মূল্যবৃদ্ধি, পেট্রোপণ্যের দাম বৃদ্ধি নিয়ে সরব তৃণমূল। এর জন্য কেন্দ্র সরকারকে লাগাতার দায়ী করে আসছে তারা। এই অভিনব প্রতীকী প্রতিবাদের মাধ্যমে একই বার্তা দিতে চাইলেন মদন মিত্র। তিনি বলেন, “এক কাপ চায়ের দাম ১৫ লক্ষ টাকা। এমন চা আমেরিকার রাষ্ট্রপতিও খাওয়াতে পারেননি। যা এখন নরেন্দ্র মোদী আমাদের খাওয়াচ্ছেন।”