বাংলাহান্ট ডেস্কঃ ‘কথায় বলে একই অঙ্গে বহুরূপ’, এই প্রবাদ বাক্য যেন তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্রের (madan mitra) জন্যই তৈরি হয়েছে। রাজনীতিতে সবুজ পন্থী হলেও, তাঁকে অনুরাগীর সংখ্যা সব রঙেই ছড়িয়ে রয়েছে। মদন মিত্রকে অপছন্দ করার মত মানুষ মনে হয় এই বঙ্গে খুবই বিরল।
তাঁর স্টাইল স্টেইটমেন্ট থেকে শুরু করে তাঁর সিগনেচার চোখের কালো চশমা, কখনও সাদা ধুতি পাঞ্জাবি, তো আবার কখনও ওয়েস্টার্ন ড্রেস- সবেতেই যেন সাবলীল কামারহাটির তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্র। তাঁর এক একটি বাক্য, এক একটি ভিডিও দেখার জন্য অপেক্ষা করে থাকে বঙ্গবাসী।
প্রথম থেকেই তিনি কখনও দাদা, আবার কখনও নেতা, মন্ত্রী, আবার সম্প্রতি সময়ে তাঁর শিল্পী সত্ত্বার পরিচয় পেয়েছে বাংলার মানুষ। তবে এবার মদন মিত্রের শিল্পী সত্ত্বাকেও প্রাধান্য দিল শান্তিপুর পূর্ণিমা মিলনি। চিঠি মারফত মদন মিত্রকে করা নিমন্ত্রণ পত্রে, তাঁর নামের নীচে লিখে দিল ‘শিল্পী’।
বিধানসভায় সোমবার মদন মিত্রের নামে একটি চিঠি আসে। কিন্তু চিঠিতে নিজের নাম দেখে, মুচকি হেসে দেন মদন মিত্র।এই চিঠি তাঁকে পাঠিয়েছে নদিয়ার রাসমেলা থেকে শান্তিপুর পূর্ণিমা মিলনি। এই রাসেরমেলায় মদন মিত্রের উপস্থিতি কামনা করেই, এই চিঠি পাঠায় শান্তিপুর পূর্ণিমা মিলনি।
কিন্তু এই চিঠি দেখে কেনই বা হেসে উঠলেন মদন মিত্র? আসল বিষয়টা হল, চিঠিতে লেখা রয়েছে- ‘মাননীয় শ্রী মদন মিত্র বিধায়ক ও শিল্পী পঃ বঃ সরকার’। নিজের শিল্পী সত্ত্বার প্রকাশ আগে করলেও, এভাবে সম্মান পেয়ে অভিভূত মদন মিত্র।