বাংলাহান্ট ডেস্ক: দু সপ্তাহের বেশি হয়ে গেল হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন ঐন্দ্রিলা শর্মা (Aindrila Sharma)। এর মধ্যে একাধিক খবর ছড়িয়েছে তাঁর নামে, যার সত্যতা নিয়ে যথেষ্ট ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে। শনিবার সন্ধ্যায় হঠাৎ করেই শোনা গিয়েছিল, আবারো হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েছেন ঐন্দ্রিলা। যদিও তারপরে আরেক সংবাদ মাধ্যমের তরফে দাবি করা হয়, এ খবর আদৌ সত্যি নয়। এর মাঝেই ঐন্দ্রিলার ব্যাপারে লেখা নভেম্বরের সব পোস্ট মুছে দেন সব্যসাচী চৌধুরী।
এর মাঝেই জানা গেল, শনিবার ঐন্দ্রিলাকে দেখতে হাওড়ার হাসপাতালে পৌঁছান বিধায়ক মদন মিত্র। কালো পাঞ্জাবি, ধুতি, নীল জহর কোট পরে নিরাপত্তারক্ষী বেষ্টিত হয়ে ওই বেসরকারি হাসপাতালে পৌঁছান তিনি। এদিন চিকিৎসক এবং অভিনেত্রীর পরিবারের সঙ্গে তিনি কথা বলেন বলে খবর।
শুক্রবার মাঝরাতে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি বড় পোস্টে সব্যসাচী জানিয়েছিলেন, ঐন্দ্রিলা সুস্থতার লক্ষণ দেখাচ্ছেন। মিরাক্যল সত্যিই হয়েছে। কিন্তু শনিবার ফের মাইল্ড কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট এর খবর পাওয়া যায় ঐন্দ্রিলার। কিন্তু এক সংবাদ মাধ্যমের তরফে দাবি করা হয়, এ খবর আদৌ সত্য নয়। তারপরেই হঠাৎ করে ঐন্দ্রিলা সংক্রান্ত সব পোস্ট ডিলিট করে দেন সব্যসাচী। কিন্তু এর কারণ এখনো জানা যায়নি।
গত ১ লা নভেম্বর বাড়িতেই অসুস্থ হয়ে পড়েন ঐন্দ্রিলা। মস্তিষ্কে স্ট্রোক হয় তাঁর। দ্রুত হাওড়ার আন্দুলের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে। মস্তিষ্কে অস্ত্রোপচার করা হয় ঐন্দ্রিলার। ভেন্টিলেশনে রাখা হয়েছিল তাঁকে। এ বিষয়ে সব্যসাচী প্রথম ভুয়ো খবরের বিরুদ্ধে মুখ খুলেছিলেন।
লিখেছিলেন, ‘ঐন্দ্রিলার বিষয়ে অযথা নেতিবাচক খবর ছড়ানো বন্ধ করুন। কিছু নিম্নমানের তথাকথিত মিডিয়ার ভুয়ো খবরে নিজেদের বিভ্রান্তি বাড়াবেন না অথবা ওর বাড়ির লোককে বিরক্ত করবেন না। আমি এখনও অবধি কোনও সংবাদমাধ্যমের সাথে যোগাযোগ করিনি, সাক্ষাৎকার দিইনি, দেবও না। শুধু জেনে রাখুন মেয়েটা লড়ে যাচ্ছে, সাথে লড়ছে একটা গোটা হাসপাতাল।’ সঙ্গে আরো লিখেছিলেন, নিজে হাতে করে নিয়ে এসেছিলেন। নিজে হাতে করেই নিয়ে যাবেন।