বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বিগত কিছুমাস ধরে নিয়োগ দুর্নীতি (Recruitment Scam) ইস্যুতে নাজেহাল রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস (Trinamool Congress)। কেলেঙ্কারির তদন্ত যতই এগোচ্ছে ততই নাম জুড়ছে একের পর এক শাসকদলের নেতা-মন্ত্রীর। কোনো না কোনোভাবে উঠে আসছে তৃণমূল যোগ। লক্ষ লক্ষ টাকার বিনিময়ে বিক্রি হয়েছে হাজার হাজার চাকরি। এমনটাই অভিযোগ। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করেই যখন বিতর্কের আগুন জ্বলছে গোটা রাজ্যে। ঠিক সেইসময় বিতর্ক আরও কিছুটা উস্কে দিল কামারহাটির তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্র (Madan Mitra)।
এদিন নিজের ফেসবুক লাইভে এসে নিয়োগ দুর্নীতি প্রসঙ্গে মুখ খোলেন মদন মিত্র। কামারহাটির বিধায়ক বলেন, ‘আমাদের বহু ছেলে বহুদিন সিপিএমের ৩৪ বছরে চাকরি পায়নি। কয়েক কোটি বেকার রেখে সিপিএম চলে গিয়েছিল। তো বেকার কী চিরকাল বেকার থাকবে? নিয়ম-রীতি মেনে সত্যিকারের যারা যোগ্য তাদের বঞ্চিত না করে যদি তৃণমূলের কর্মীদের চাকরি দেওয়া হয় সেটা কোনো অন্যায় নয়, এবং আমি সুযোগ পেলেই তৃণমূল কর্মীদের আবার চাকরি দেব।”
বিধায়কের আরও সংযোজন, ” ২০০২ সাল থেকে সিপিএম দিয়ে এসেছে, ৩৪ বছর ধরে সিপিএম দিয়ে এসেছে। দিল্লিতে বিজেপি একতরফা করে যাচ্ছে। আর বাংলায় তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মীরা চাকরি করবেনা?” মদন মিত্রের এই মন্তব্যের কড়া ভাষায় প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন বাম নেতা সুজন চক্রবর্তী।
সুজনবাবু বলেন, “মদন মিত্র যা বলছেন তা হলফনামা করে তৃণমূল বলুক, অসুবিধা কী আছে?” তৃণমূলের কিছু নেতা অপদার্থের মতো কথা বলেন বলেও কটাক্ষ করেছেন তিনি। তিনি বলেন, “এদের লাজ লজ্জা থাকলে মাথা নিচু করে মুখে কালো কাপড় বেঁধে ঘোরা উচিত ছিল।”
অন্যদিকে, মদন মিত্রের মন্তব্যের প্রেক্ষিতে একজোটে তৃণমূল ও সিপিএমকে আক্রমণ করেছেন বিজেপি মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য। সংবাদমাধ্যমে তিনি বলেন, ” দীর্ঘ ৩৪ বছর ধরে সিপিএমের শোষণ-তোষণ সকলে দেখছে। অন্যদিকে, তৃণমূল কংগ্রেসের নিয়ম-নীতি হল নিজেদের কর্মীদের থেকে ৮-১০ লক্ষ করে টাকা নাও, নিয়ে চাকরি দাও। মেধাকে প্রতারণা করার কাজই তৃণমূল কংগ্রেস করে এসেছে। “