বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বাংলার নিয়োগ দুর্নীতির (Recruitment Scam) অন্যতম দুই অভিযুক্ত প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee) ও অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের (Arpita Mukherjee) ‘প্রেমালাপ’ এখন এখন রাজ্য রাজনীতির চর্চার অন্যতম বিষয়। শিক্ষক কেলেঙ্কারি ইস্যুতে বহুদিন জেলবন্দি দুজনাই। মঙ্গলবার তাদের ভার্চুয়ালি ব্যাঙ্কশাল আদালতে পেশ করা হয়। সেই সময় অর্পিতার ঠোঁটের আলতো হাসি, পার্থর ফ্রেঞ্চ কাট দাড়ির প্রশংসা, চোখে-চোখে কথা নিয়ে এখন রীতিমতো উত্তাল।
‘অপা’-র বন্ধুত্বের সম্পর্ক নিয়ে সেই প্রথম থেকেই প্রবল আগ্রহ জনমানসে। আর মঙ্গলবার তাদের ভার্চুয়াল ইশারা-কাহিনি সামনে আসতেই সেই আগ্রহ যেন ডবল। এবার ‘অপা’ প্রসঙ্গে মুখ খুললেন ‘কালারফুল বয়’ তৃণমূলের মদন মিত্র (Madan Mitra)। এদিন সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে নেতা বলেন, “আদালতে যদি পার্থ নির্দোষ প্রমাণিত হয় সেক্ষেত্রে তাকে মালা নিয়ে বরণ করতে যাব আমি। অর্পিতাকে তো আর মালা পরাতে যাব না। ও আমার বিধানসভা কেন্দ্রের মেয়ে। তবে হ্যালো নিশ্চই করব।”
তবে পার্থ-অর্পিতার সম্পর্ক, খুনসুটি নিয়ে যে সমালোচনার ঝড় উঠেছে তা ভালো মতো নেননি পপুলার মদন মিত্র। কারও নাম না নিয়ে তিনি বলেন, “অল্প বয়সী মেয়েরা এখন বয়স্কদের সঙ্গে প্রেম করতে ভালোবাসে। কারণ মেয়েরা বুঝতে পেরেছে ভালোবাসার থেকে ভালো থাকাটা অনেক বেশি জরুরি। তুমিই আমার ফুচকা তুমিই আমার আলুকাবলি এসব এখন আর চলে না। বয়স্করা খুব কেয়ারিং হয়। বয়স বাড়লে অন্য কোনও কাজেই মন বসে না। প্রেমই তখন সকলের কাছে অক্সিজেন হয়ে দাঁড়ায়।”
এদিন কিছুটা আবেগ নিয়েই মদন বলেন, “প্রেম চিরদিনই কাঁদিয়ে গেছে… প্রেম কিছুটা বেনারসীর মতো প্রেমকে স্পর্শ করতে হয়। প্রেমকে সিন্দুকে রেখে মাঝে মধ্যে ঘ্রাণ অনুভব করতে হয়। তাকে নিংড়ে নেওয়া কখনই সম্ভব নয়।” তবে তার সতর্ক বার্তা, “এমন প্রেম কর না যা তোমার কাছে খেলা অন্যের কাছে মৃত্যু।”
আদালতে শুনানির সময়ই ‘অপা’-র ইঙ্গিত, ইশারা নিয়ে কামারহাটির বিধায়ক বলেন, “কোনও কিছু আইন বিরুদ্ধ বা আদালতের জন্য অবমাননাকর হলে অবশ্যই আমি তা সমর্থন করি না। কিন্তু, যদি তা না হয় সেক্ষেত্রে এই পুরো বিষয়টিই একটি সুস্থ ভদ্রতার লক্ষণ।” এরপর পার্থ-অর্পিতার সম্পর্ক নিতেও মুখ খোলেন তিনি। বলেন, “পার্থ যথেষ্ট স্নেহ করত অর্পিতাকে। অর্পিতারও পার্থর জন্য সম্মান বলুন, ভালোবাসা বলুন, সম্মান বলুন, একটা বিশেষ অনুভূতি ছিল।”
তবে পার্থবাবু যে কখনও নিয়োগ দুর্নীতির সাথে জুড়তে পারে একথা এখনও মানতে পারেননা মদন মিত্র। এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “ও যে এই ধরনের কোনও কাজ করতে পারে তা বিশ্বাস করতে পারছি না। আমার মনে হয় ওর উপর প্রেতাত্মা ভর করেছিল বা অশুভ কোনও শক্তি ওকে গ্রাস করেছিল।”