বাংলা হান্ট ডেস্ক: এবার ভারতের (India) স্মার্টফোন রপ্তানির ক্ষেত্রে বিরাট পরিসংখ্যান সামনে এসেছে। মূলত, দেশে স্মার্টফোন (Smartphone) রপ্তানির পরিমাণ ক্রমাগত বাড়ছে। অন্যদিকে, চিন (China) এবং ভিয়েতনাম (Vietnam) থেকে স্মার্টফোন রপ্তানি ক্রমাগত হ্রাস পাচ্ছে বলেও জানা গিয়েছে। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০২৪-এর অর্থবর্ষে চিনে মোবাইল রপ্তানির পরিমাণ ২.৭৮ শতাংশ কমেছে। এদিকে, আমরা যদি ভিয়েতনামের পরিসংখ্যানের দিকে তাকাই তাহলে দেখা যাবে, এই সময়ের মধ্যে, ভিয়েতনামে মোবাইল রপ্তানিতে ১৭.৬ শতাংশের পতন রেকর্ড করা হয়েছে। এদিকে, ভারতে মোবাইল রপ্তানিতে ৪০.৫ শতাংশ বৃদ্ধি ঘটেছে।
ভারতের বিপুল মোবাইল রপ্তানি: এই প্রসঙ্গে জানিয়ে রাখি, একটা সময়ে সমগ্র বিশ্বজুড়ে চিন এবং ভিয়েতনাম থেকে সবথেকে বেশি স্মার্টফোন রপ্তানি করা হত। এই দু’টি দেশ মোবাইল রপ্তানির ক্ষেত্রে সবথেকে বেশি এগিয়ে থাকত। কিন্তু, বর্তমান সময়ে ওই দেশগুলি মোবাইল রপ্তানির নিরিখে ভারতের কাছ থেকে জোরদার প্রতিযোগিতার সম্মুখীন হচ্ছে। এমতাবস্থায়, সামগ্রিক বিষয়টিকে এভাবেও বলা যেতে পারে যে চিন এবং ভিয়েতনাম থেকে স্মার্টফোন রপ্তানির বাজার ক্রমশ ভারতে স্থানান্তরিত হচ্ছে। যেটি পরিসংখ্যানেও ফুটে উঠছে।
চিন এবং ভিয়েতনামে স্মার্টফোন রপ্তানি কমেছে: ইন্টারন্যাশনাল ট্রেড সেন্টারের (ITC) রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০২৩ অর্থবর্ষে চিন থেকে স্মার্টফোন রপ্তানি হয়েছে ১৩৬.৩ বিলিয়ন ডলারের। যা ২০২৪-এর অর্থবর্ষে কমে হয়েছে ১৩২.৫ শতাংশ। অপরদিকে ভিয়েতনামে, ২০২৩ অর্থবর্ষে স্মার্টফোন রপ্তানি হয়েছে ৩১.৯ শতাংশ। যেখানে ২০২৪ অর্থবর্ষে, স্মার্টফোন রপ্তানি ২৬.২৭ শতাংশে নেমে এসেছে।
আরও পড়ুন: পুণ্যার্থীদের হবেনা অসুবিধে! রথযাত্রার জন্য বিশেষ ব্যবস্থা ভারতীয় রেলের, চলবে এতগুলি স্পেশাল ট্রেন
এমতাবস্থায়, যদি আমরা ভারতের কথা বলি তাহলে ভারতে ২০২৩ অর্থবর্ষে স্মার্টফোন রপ্তানি হয়েছে ১১.১ বিলিয়ন ডলারের। যেখানে ২০২৪-এর অর্থবর্ষে এটি বৃদ্ধি পেয়ে পৌঁছেছে ১৫.৬ বিলিয়ন ডলারে। এর অর্থ হল ভারতে মোবাইল রপ্তানির পরিমাণ প্রায় ৪.৫০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। মানে, স্মার্টফোন রপ্তানির বাজার ক্রমশ চিন ও ভিয়েতনাম থেকে ভারতের দিকে চলে আসছে।
আরও পড়ুন: ভাঙন কবলিত এলাকায় পরিদর্শনে যেতেই ঘটল বিপত্তি! চরম বিক্ষোভের সম্মুখীন রাজ্যের মন্ত্রী
এভাবেই বেড়েছে মোবাইল ফোন রপ্তানি: প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, ভারত থেকে বিপুল পরিমাণে স্মার্টফোন রপ্তানির ক্ষেত্রে PLI স্কিমের সবথেকে বড় অবদান রয়েছে। এই স্কিমটি Apple থেকে শুরু করে Vivo, Xiaomi এবং Samsung-এর মতো বড় মোবাইল প্রস্তুতকারী সংস্থাগুলিকে দেশে স্মার্টফোন তৈরি করতে উৎসাহিত করেছে। পাশাপাশি, আর্থিকভাবেও সহযোগিতা করা হয়েছে। এমতাবস্থায়, ভারতে Tata Group-এর মতো কোম্পানিও স্মার্টফোন তৈরির ক্ষেত্রে এগিয়ে এসেছে।