বাংলাহান্ট ডেস্ক: শুরু হয়ে গেল বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব। আকাশের মুখভার এড়িয়ে রোদ ঝলমলে আকাশ দেখলেই প্যান্ডেল হপিংয়ে বেরিয়ে পড়ছে মানুষ। তারকারাও নিজেদের মতো করে পুজো কাটানোর পরিকল্পনা করছেন। এ বছরের পুজোটা অভিনেত্রী মধুবনী গোস্বামীর (madhubani goswami) কাছে অনেকটাই স্পেশ্যাল। চলতি বছরেই মা হয়েছেন তিনি। ছেলে কেশবকে ঘিরেই এবার তাঁর পুজোর আনন্দ।
সংবাদ মাধ্যমকে মধুবনী জানালেন কেশবের সুরক্ষার জন্য এবারের পুজো তাঁর বাড়িতেই কাটবে। তবে কোনোদিনই ভিড় তেমন পছন্দ করতেন না অভিনেত্রী। ছোট থেকে তাঁর কাছে পুজো মানেই ব্লকের পুজো। মধুবনীর ছোটবেলা কেটেছে সল্টলেকে। ব্লকের পুজোই তাঁদের কাছে ছিল বাড়ির পুজোর মতো। সকাল থেকেই মণ্ডপের সামনে জড়ো হয়ে যেতেন বন্ধুবান্ধবরা মিলে।
রাত হয়ে যেত সেখানেই আড্ডার মধ্যে। পুজোর চারদিন কলকাতার বাইরে যাওয়ার কথা ভাবতেও পারেন না মধুবনী। ছোটবেলার সে সব দিন বড্ড মিস করেন তিনি। কারণ এখন তিনি তারকা। যেখানেই যান ভিড় ফলো করে তাঁকে। এই প্রসঙ্গে ২০১৯ এর একটি ঘটনার কথা শেয়ার করেন মধুবনী।
সেবারে প্যান্ডেল হপিংয়ের খুব ইচ্ছা হচ্ছিল অভিনেত্রীর। কিন্তু উপায় কী? তখনি স্বামী রাজা গোস্বামী এসে খবর দিলেন, একটি ফুটবল দল আয়োজিত শারদ সম্মানে তাঁদের দুজনকেই বিচারক হওয়ার আবেদন করেছে। ব্যস, সমস্যার সমাধান। সেবারে সন্ধ্যে সাতটা থেকে ভোর চারটে পর্যন্ত মোট ৩৫ টি ঠাকুর দেখেছিলেন মধুবনী রাজা।
এবারে পুরো পুজোটাই বাড়িতে বসে কাটাবেন অভিনেত্রী। জানালেন, ছেলে এখনো স্তন্যপান করে। তাই খুদের কথা মাথায় রেখেই চলতে হয় তাঁকে সবসময়। বাড়িতে সারাক্ষণ থাকবেন বলে বেশ কয়েকটি পূজাবার্ষিকী কিনে রেখেছেন তিনি। এছাড়াও নিজে অনেক ছড়া মুখস্থ করেছেন। ছোট্ট কেশবকে শোনাতে হবে তো।