বাংলাহান্ট ডেস্ক : একসময় টেলিপাড়ার জনপ্রিয় অভিনেত্রীদের মধ্যে একজন ছিলেন মধুবনী গোস্বামী (Madhubani Goswami)। প্রথম সিরিয়াল থেকেই জনপ্রিয়তা পেয়ে দর্শকদের নজর কেড়ে নিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু বিয়ের পর থেকেই কাজ কমতে থাকে তাঁর। যদিও মধুবনী বেশি গুরুত্ব দিয়েছিলেন নিজের সংসারকেই। স্বামী রাজা, ছেলে কেশবকে নিয়ে তাঁর ভরা সংসার। কিন্তু নেতিবাচকতা থেকে মুক্তি পাননি মধুবনী।
ফের ট্রোলড মধুবনী গোস্বামী (Madhubani Goswami)
মাঝেমধ্যেই বিভিন্ন মন্তব্য করে সংবাদ শিরোনামে জায়গা করে নেন মধুবনী (Madhubani Goswami)। তাঁর সেইসব মন্তব্য নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় চলে ট্রোলিং। কিছুদিন আগেই সন্তানপালন এবং কর্মরতা মাদের নিয়ে মন্তব্য করে সমালোচনার মুখে পড়েছিলেন অভিনেত্রী। এবার ফের চর্চায় তাঁর সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট। আবারও কী কারণে ক্ষোভের মুখে পড়লেন মধুবনী?
কী লিখেছেন অভিনেত্রী: সম্প্রতি সোশ্যাল বিবাহিত মহিলাদের শাঁখা পলা পরা নিয়ে নিজের মতামত প্রকাশ করেছেন মধুবনী (Madhubani Goswami)। তিনি জানান, বিয়ের পর থেকেই মোটা শাঁখা পলা শুরু করেছেন তিনি। বিয়ে করেছেন মোটা শাঁখা পরে। তারপরেই তিনি লক্ষ্য করেন, অনেকের মধ্যে মোটা শাঁখা পরার প্রবণতা দেখা দিয়েছে। এমনকি বর্তমানে মহিলাদের মধ্যে মোটা শাঁখা পরার চল নাকি তিনিই শুরু করেন বলে দাবি করেছেন মধুবনী (Madhubani Goswami)।
আরো পড়ুন : পহেলগাঁও নিয়ে চুপ, প্যালেস্টাইনের জন্য প্রাণ কাঁদছে স্বরার! তীব্র ধিক্কারের মুখে অভিনেত্রী
কটাক্ষের শিকার মধুবনী: তাঁর কথায়, তিনি শাঁখা পলা পরেন স্বামীর মঙ্গল কামনায়। তাঁর বিশ্বাসের জায়গা থেকেই এগুলো পরে থাকেন তিনি। মধুবনী আরো লেখেন, ‘আমি মনে করি শাঁখা পলা সিঁদুর এমনই আভূষণ, যেগুলো চাইলেই পরা যায় না। প্রথমত এর জন্য বিয়ে হওয়াটা অবশ্যই জরুরি, সঙ্গে স্বামীর দেহে থাকাটাও আবশ্যক’। মধুবনী (Madhubani Goswami) আরো লেখেন, যাঁরা প্রফেশনের কারণে পরতে পারেন না তা অবশ্যই গ্রহণযোগ্য। কিন্তু যাঁরা ‘এমনিই পরি না’ বা ‘গাঁইয়া লাগে’ বলেন তাঁদের কটাক্ষ শানিয়েছেন মধুবনী।
আরো পড়ুন : ‘চোখে দেখা যায় না…’, কফিনবন্দি হয়ে ফিরল পাইলট সুমিতের দেহাংশ, হাউহাউ করে কাঁদলেন বৃদ্ধ বাবা
মধুবনীর এই মন্তব্যে রীতিমতো ক্ষুব্ধ নেটিজেনদের একাংশ। শাঁখা পলা পরাকে ‘গ্লোরিফাই’ করায় অনেকে কটাক্ষ করেছেন তাঁকে। এমনকি তিনি যে মোটা শাঁখা পলা পরার চল শুরু করেননি, তা যে অনেক আগে থেকেই চলছে সেটাও উল্লেখ করেছেন কয়েকজন।